যাহার সনে লেখা এতো
প্রেম কাব্যের বই।
স্বর্ণে গড়া হৃদ মহলের
প্রিয়া আমার কই?
কতইনা যতন লইতাম তার
ছিল যখন হৃদয় জুড়ে।
আনিতাম সুখ কুড়ায়ে আমি
গোটা ভুবন ঘুরে।
ধুলায় মলিন হয় যদি
পদ তাহার দুই।
অশ্রুজলের ঢেউয়ে আমি
প্রাসাদ টারে ধুই।
কণ্টক ছটা যেথায় দেখি
পাতি আপনার বক্ষ,
আঘাত যেনো নাহি পায়
চরণ যে তাহার সূক্ষ্ম।
কাননে সে বেড়ায় ঘুরে
ওষ্ঠে মুচকি হাসি,
সেই দৃশ্যে ঘোঁচে আমার
যত দুঃখ রাশি।
কাননের যতো বৃক্ষ সবি
লাগিয়েছি নিজ হস্ত করে।
সখি আমার খুশি হবে
দেখবে নয়ন ভরে।
সার্থক বড়ই দুঃখের পাহাড়
ঝর্না তাহার বেশ।
ঝর্না জলে নায়ায়ে পিয়া
শুখায় গুচ্ছ কেশ।
ময়ূরেরা পেখম মেলে
নৃত্য করে তাহার সনে।
সখিরে দেখে যেনো
রং লেগেছে তাদের মনে।
কৌতুহলে বন্ধু আমায় জিগায়
কানন সৃষ্টির কূল।
কেমনে শিমুল তলায় ঝরে
রক্ত রাঙা জবাফুল।
ইসত হাঁসি ওষ্ঠে আমি
বলবো কারণ যেই
পটল চেরা অক্ষি দেখে
হারালাম ছন্দের খেই।
নন্দন কানন ডেকে তারে
শোনায় গল্প সবই।
তুলে ধরে যত সব
সুখ স্মৃতির ছবি।
যখন তুমি সুখ দিয়েছো
তখনি আমার সৃষ্টি।
ফুলে আমি সাজি তখন
মালি ঝরায় আশ্রুবৃষ্টি।
শুনে সখি শান্ত নয়নে
তাকাতে শিমুল পানে।
তবে তুমি কেমনে এলে
এ নন্দন কাননে?
শিমুল বলে আছেকি মনে
হাতটি ধরে বলেছিলে যখনি।
তোমার নামে লিখে দিলাম
হৃদয় ভূমির সবখানি।
তখনি এক পাগলা হাওয়া
মাখিয়ে গেলো ধুলো।
কালো মেঘে গেলো ছেয়ে
উড়িয়ে শিমুল তুলো।
কে ও এতো কর্কশ
কেনো এতো গম্ভীর?
সুখের ছন্দ ভেঙে কেনো
করলো তা স্থগির?
হা আমি চাইনি জন্মাতে
এটার কারণ তুমি।
কেনো দিলে কষ্ট এতো
সুখের কি ছিল কমি?
আমি আর কেহ নই
তোমার দেওয়া দুঃখ।
আমার আগমন তখনি গো
ভাঙলে যখন মালির বক্ষ।
ভুল গেলো ভেঙে সখীর
ক্রন্দনরত সে এখন।
আসছে ছুটে আমার পানে
ভঙ্গ হলো বিনিদ্র স্বপন।
এসব যে অতীত তাহার
ফাঁকা আজ সবি।
এক কালের পাগল প্রেমী
হলাম বিরহের কবি।।।