কোনোকালেই লজ্জাহীন চোখের আকাশে–
মেতে উঠার গভীর সাধ ছিল না আমার!
চোখের পর্দায় দেয়ালের মত প্রাচীর ছিল।
অতিথি পাখির ন্যায় অল্পদিনের মোলাকাতে–
আমার নতুন এক পৃথিবীর আবিষ্কার হল।
সেই থেকে ক্রমাগত গল্পের গহীনে–
এতো দ্রুত আমি হাঁটতে শুরু করলাম!
কেউ আটকাতে পারলো না।
আমার সঙ দিয়েছ তুমি।
গভীর শ্রদ্ধ্যার স্মৃতিতে মুখোরিত থেকে
হুট করে একদিন রঙিন অধ্যায়ের সূচনায়
দুটো মন একই বৃত্তে লেপ্টে মিশে
বসন্ত কোকিলের মৌ ডালে
উড়তে শুরু করি
সাদা গোলাপের সুবাস পেতে!
এই যে এতোটুকু চাওয়া?
মধ্য রজনীর বুক ভেঙে সুখের চাদরে মিশে
দুটো শরীর নতুন গ্রহের সন্ধানে
এক কোটি সেকেন্ড-পৃথিবীর মায়া ভুলে রয়।
এই প্রথম নব গ্রহের দরজায় দাঁড়িয়ে আমি
খুঁজে পাই, নারীর শরীর জুড়ে গোলাপের ঘ্রাণ!
সেই থেকে সহস্র রজনীর সৌন্দর্য
ক্রমাগত বাড়তে থাকে
চোখের কিনারায়, প্রতি মোলাকাতে!
আমরা আজও ক্রমাগত সুখ রাজ্যের–
গভীর অতলে ডুবে আছি!
অতঃপর কতকাল ডুবে রব! কেউ জানবে না!
পৃথিবীতে অন্তত এমন একটা নতুন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কার হোক
শুধুই নারী-পুরুষের গভীর মোলাকাতের হিসেব কষার।