আমার নিজস্ব বলতে কিছু ছিল না
আমার যা ছিল সব মানুষের জন্য
অরণ্য পাখিদের জন্য।

সুখের অভাবে নিতান্ত গরিব হওয়ার পর...
আমার মাঝে, আমার একটা–নিজস্বতা ছিল।
নিজস্ব বলতে, আমার একটা দামী সম্পদ ছিল–
“ভালোবাসা”।

একত্রিশটা বছর পর, পথ হারিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে...
নারী তোমায় কুড়িয়ে পেয়েছি, একটা মরা ফুলের মতন!
বিশ্বাস এবং ভরসার মাঝখানে–তুমি যত্নে আছো–
আমার বুকের জমিন জুড়ে–কয়েকটি মাস।

তারপর পাগলের মতো ডুবে আছি–
নারী তোমার উদ্যানে
তোমার সমুদ্রে
আমায় ডুবিয়ে রেখেছো, নিষ্পাপ ভালোবাসা দিয়ে–
খামখেয়ালির প্রতিটা মুহূর্ত।

কোনো কালে, কোনো দিন
ভালোবাসার মালিকানা কাউকে দেইনি
প্রথম নারী তুমি, আমার ভালোবাসা হৃদয়ে তুলেছো!

রাগ করা আমার অভ্যাস
রাগে বিভোর থাকা আমার চরিত্র নয়।
নারী, বয়সের শেষ পাতাটা আজ–
তোমার নামে লিখে দিতে গিয়ে...
আঁতকে উঠেছে আমার শরীরের শিরা-উপশিরা।
নিদারুণ জীবন গল্প তোমার!
এ কোন মহা গল্পের সাক্ষী হলাম আমি?

অনেক ভালোবাসো আমায়...
দ্বিধাদ্বন্দহীন সব দিতে চাও অনায়াসে!
এযাবৎ অনেক দিয়েছো...
অনেকটা রাত
রঙিন মুহুর্ত

শরীরি সুখ নিতে প্রস্তুত তুমি! দিতেও সংকোচ নেই তোমার!
তবুও ভীষণ ভয়, আগুনের ভয়।
হাত ছাড়তে চাও ওর, পারো না
পা রাখতে চাও ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে, পারো না
ঘর সাজাতে চাও প্রেমের, তবুও ভয়!

প্রাক্তন প্রেমিক আমি, একটা রহস্য গল্প এই?
এক যুগ পর আমাদের মোলাকাত
অনেক কথা জমা পড়েছে জীবন ডায়েরিতে
বিশ্বাস এবং ভরসা পাহাড় হয়ে উঠেছে উভয় পাড়ায়
তবুও ভয়। বারোটা বছরের ভ্রান্ত ভয়।

আচ্ছা?
যেখানে সুখ পাওয়া যায়, সুখি হওয়া যায়...
এ-টুকু জানার পর, ভয় কেন তোমার মাথা এবং মগজে?
কেন দাসত্ব জীবন কাটাতে হবে কোলাহলহীন সংগোপনে?
কেন পৃথিবীর আড়াল হয়ে নিরব কাদতে হবে চোখের ভাষায়?

সবকিছু জানার পর, আমি আর পারছি না
আমাকে আড়াল করে একটা মুহুর্ত রেখো না নারী?
গোপনের সুখ আমায় দিতে হবে না বলে–
অন্ধকারে আর পড়ে থেকো না নারী?
অন্ধকার মানুষকে সুখ দিতে পারে না!

আমি সুখি হতে চাই–কাবিন করে, কবুল পড়ে।
১২-০৫-২০২৪