ফুল ফুটেছিল
ঘ্রাণ নিয়ে এসেছিল
একত্রিশ বছরের অবহেলায়–
পড়ে থাকা জীবনের পাশে।

তারপর–ক্রমাগত এক দুটি নয়?
দুইশত দিনের অধিক
ফুল তার মনের ইচ্ছায় পাশে থেকে
খুশি মত ঘ্রাণ ছড়ায়,
খেলা করে, মেলা জমায়
দিনের পর দিন–
ঘন্টার পর ঘন্টা–
গল্প আর প্রেমের বিনোদনে, মাতিয়ে তুলে।
কত শত ইচ্ছা
অনুভূতি
স্বপ্ন আর সুখ
দুটো প্রাণে–ফুলের মত, পাখির মত
রোজ প্রতিদিন উল্লাস করে মেতে উঠত,
অতঃপর সুযোগ পেলেই–
বাসর সুখে হারিয়ে যেতো!

প্রথম প্রথম মনের সুখেই সব হয়েছিলো, সব ঘটেছিলো
কোনো অজুহাত ছিলো না সেদিন
তখন পাখিটার এতো এতো যত্ন ছিলো, কদর ছিলো
গুরুত্বের পাহাড় ছিলো
আবেগের অসম্ভব মূল্য ছিলো
অনুভূতির প্রতি পৃথিবীর সেরা সম্মান ছিলো

কত রঙিন কথা বলে, যে ফুল রোজ প্রতিদিন–
ঠোঁটের হাসি ঝরাতো,
বুকের বোতাম খোলে গভীর সুখ বিলাত!
তার আজ সব কিছুতে অজুহাত!

কাকে আজ ভুল বলবো আমি?
ফুল কে?
না পাখি কে?
একজন তো ভুল-ই?

খুব ছোট করে বলি....
যে-ফুল রঙিন স্মৃতি, রঙিন মুহুর্ত, রঙিন কথা–
কাঁচের গ্লাসের মত ভেঙেচূড়ে-গুড়ো করে
হুট করে দুরত্ব নিয়ে আসে, বদলে যায়!
তাকে?
না যে পাখি, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত
অপেক্ষার প্রহর গুণে-গুণে
স্মৃতিসব চোখে নিয়ে তিলে-তিলে
অল্প-অল্প করে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে!
ফুলের টানে, ফুলের প্রেমে...
তাকে ভুল বলব?

আজ খুব জানতে ইচ্ছে করছে...
কে, কাকে ধোঁকা দিচ্ছে?
কার হচ্ছে প্রকাশ, অভিনয়ের বহিঃপ্রকাশ?
৩০-১০-২০২৪