মানুষের শরীরী অঙ্গের অধিক চিত্রকল্প
খোলা ময়দানে পরিস্কার
হাত বলো
পা বলো
পায়ের আঙুল বলো
না হয়, দু'হাতের একে-একে সবটুকু আঙুলের গল্প তুলো
আর না হয়–
চোখের, বুকের অথবা ডায়মন্ডের পোশাকে ঢাকা–
নারী-পুরুষের গুপ্ত লিঙ্গের আচনক গল্প তুলো।
গল্প তুলো, নাখ এবং নাখের নরম পাদদেশের...
তারপর, গল্প উঠাও–
মানুষের ঠোঁটের, গালের, পেটের এবং পিঠের!

অথবা গল্প তুলো মানুষের কপালের গল্প
সাদা-কালো চুলের উড়ন্ত অনুভূতির গল্প
আর না হয়, গল্প তুলো, দুটো কানের গল্প
লুকিয়ে থাকা আরও যতো অজানার অঙ্গ আছে
সবটুকুর গল্প তুলো।

এইবার গল্প করে-করে তারপর বলো...
মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, গোপন রাখা যায় কী?
অধিকাংশটুকু খোলা ময়দানে পরিস্কার!

বহুমুখী জীবন, মাঝে-মাঝে দুর্ঘটনায় পড়ে
সাদাকালো চামড়ায়, ক্ষতের দাগ বসায়।
শরীর যেমন, খুব বেশি গোপন রাখা যায় না
তেমনই শরীরী ক্ষতের চিহ্নও গোপন রাখা যায় না
যেটুকু গোপন রাখা যায়, তা ক্ষত হতে পারে না।

এই যে শরীর, শরীরের ক্ষতের চিহ্ন
এইসব চোখের পাতায়, পরিস্কার হলেও
পিঞ্জিরাবদ্ধ মনের ক্ষত
কেউ দেখে না
কেউই না

প্রত্যেকটা মানুষের মনের ক্ষত, একান্ত তার নিজের।
এ ক্ষত অন্যকে কভু পোড়ায় না।

খুব নির্জনে শুধুই নিজেকে পোড়ায়, নিজের পৃথিবীকে পোড়ায়!
১৯-০৬-২০২৪