এই বরাবর নেতার অফিস গেইটে আছে তালা
নক করেছি। বাইরে আসে গেইট প্রহরী শালা।

এই জিগাল সেই জিগাল, গেইটে করে খাড়া
ভিতর যাওয়ার আগেই অনেক খেতে হল ঝাড়া।

তবু আমায় ঢুকতে হবে খুব যে প্রয়োজন
গেইট প্রহরী রাগ দেখাল, তার সাথে গর্জন।

সেই সময়ে–একটা মানুষ একশো দিল যেই
গেইট প্রহরী ঢুকতে দিল, নেই বাঁধা আর নেই।

দৃশ্য দেখে, ভেবে-চিনতে বাড়িয়ে দিলাম কিছু
শালার বেটা গেইট প্রহরী ঘুরছে টাকার পিছু।

এবার আমি যেই বলেছি অফিস কোথায় পাই
হাত বাড়িয়ে বলছে হেসে সোজা যেনো যাই।

একটু যেতেই অফিস এলো, সামনে বসা কালা
সেইখানেও দিতে হলো, ঘাঁটে-ঘাঁটে জ্বালা।

সিরিয়াল এলো সবার শেষে প্রার্থী অনেক বেশ
কোথায় এলাম? কোথায় পাবে–এমন পরিবেশ?

ঘন্টার পরে ঘন্টা শেষে, ঢুকতে দিলো ভেতর
এক পাশেতে বসা আছে, নেতার চামচা ইতর।

ইতর বেটা বলছে এবার কি নাম তোমার? আসো
নাম জানালাম তারপরে সে বলছে এবার বসো।

কাজের আলাপ শেষ হয়েছে, টাকার আলাপ হবে
টাকা দিলেই কাজটা প্রথম, নইলে পড়ে রবে।

দুঃখ ব্যথা বলার জন্য নেতার গেলাম দ্বার
নেতার দেখা পাওয়ার আগেই মানতে হল হার।

দশের এমপি, টাকা দিয়েই ভাব কিনেছেন ভাব
ভোটের সময় ভিক্ষা খুঁজেন, পাশ করেছেন সাব।
২১-০৪-২০২০