নির্জন রাতের অন্ধকারে
নিজেকে চারদেয়ালে বন্দী করে
অতঃপর জিজ্ঞেস করলাম,
তোর কি আছে? কে আছে একান্ত প্রিয়?
এমনটা প্রশ্নের মুখোমুখি
নিজেকে দাঁড় করিয়ে জানলাম,
ভিতর থেকে আমি–ভীষণ একা।
চারপাশের ফুলেরা– কথার প্রতিবাদ জানাল!
আমি বললাম ভুল বলিনি?
তারা বলল কীভাবে?
আমি বললাম, দেখো–
একটা পাখি– বনের অসংখ্য পাখি নিয়ে আছে
একটা বৃক্ষ– অনেকগুলো বৃক্ষ নিয়ে পাশাপাশি আছে
একটা দালান– শত শত ইটের সমন্বয়ে দাঁড়িয়ে আছে
একটা মানুষ– মা-বাবা-ভাই-বোন-আত্মীয় নিয়ে আছে
তারা কেউ-ই ভিতর থেকে একা নয়।
কিন্তু এই যে আমি?
একত্রিশটা বছর হতে ভেতর থেকে ভীষণ একা।
আমার একান্ত নিজস্ব বলতে কিছু নেই!
আজ আমার যা আছে–
সবগুলোর একেকটা নামকরণ করেছি।
অবহেলাকে আমি যত্ন বলে ডাকি!
অপমানকে আমি সুখ বলে ডাকি!
ঘৃণাকে আমি সম্মান বলে ডাকি!
আজকাল আমার একান্ত বলতে
অবহেলা
অপমান
আর ঘৃণা!
আমাকে রোজ তারা– মরতে শিখিয়েছে।
যে মানুষ ভেতর থেকে মরে যায়?
তাকে আগুন আর বুলেট দিয়ে–
নতুন করে মারতে হয় না।
ভালোবাসার পৃথিবী!
আমার মরণের পর, অন্তত আর কিছু নাই বা পারো?
জঘন্য কিছু ঘৃণা বেঁধে দিও, লাশের কাপনের ভেতর।
০৬-১১-২০২৪