আগের মতো ঘুম হয় না–চোখের!
এক - কোটি সেকেন্ড হবে, চোখের অসুখ ধরেছে...
কেউ জানুক আর নাই জানুক, তোমায় পত্র লিখেছি...
একজীবনে আর কত ঘরহীন পাখির মতো–
বাড়ি-বাড়ি টিউশনি হবে আমার?
পরের চা, পান এবং ভাতের আয়োজনে
এক-তৃতীয়াংশ মায়ায় জড়িয়ে আছে জীবন!
শরীরের বেয়ারাম- তেমন একটা বলা হয় না কাউকে।
ইদানীং চুল পাকা, দাঁড়ি পাকা–
হাতের এবং পায়ের নখের বেয়ারাম!
তুষেরআগুনের মতো- পোড়াচ্ছে আমায়।
আজকাল বুক বল আর বক্ষ বল?
পাহাড় ব্যথা নিয়ে, দিনভর অসুখে আছে!
হাতে এবং পায়ে ক্ষত হওয়ার মতো অসুখ।
ইদানীং আঁখি-ঠোঁট শুকনো পাতার মতো–
শুকিয়ে, অসুন্দর!
খিদে পায় না। বেলা যায় গড়িয়ে গড়িয়ে...
কেউ খেয়াল করুক আর নাই করুক
তোমার চক্ষু-সম্মুখে তুলে ধরেছি, আমার–
বেলা - অবেলায়, উপোস করার কারণ, অকারণ।
সিগারেট মায়া ভুলতে পারছি না বলে–
নির্লজ্জ মনে হয় আমায়।
পড়ে তাকে কাজ, হয় না করা।
বিছানাটা গুছাতে গিয়ে ভাল্লাগে না!
আড্ডা-ফূর্তি এখন আমার বিষ লাগে!
আজকাল কী হয়েছে আমার?
কেউ জানুক আর নাই জানুক, তোমায় বুঝাতে চেয়েছি...
ইদানীং জাহান্নামের দিকে ছুটছে চরণ...
কেউ পারুক আর নাই পারুক
প্রেমের অনুরাধা বাঁচাতে পারে আমায়–
আগুনের লেলিহান শিখা থেকে।
হাসিকন্যা, একবার সম্মতি দাও প্রেমের...
ক্যান্সার জয় করে নেব- ভ্রান্ত সমাজের!