বালিকার ঠোঁটের মধ্যখানে আমি সুন্দরের তাজমহল দেখি
দেখি প্রেমের আচানক ঢেউ
ঢেউয়ে ঢেউয়ে সৌন্দর্যের বন্যা হয়।
তারপর হয় পাখির কিচিরমিচির শব্দ-ধ্বনি।
এযাবৎ যা কিছু আচানক সবকিছু বালিকার জন্য।
বালিকা, তোমার জন্যে আমার মলিন পৃথিবীটা হাসতে শিখেছে!
উড়তে শিখেছে একঝাঁক পাখিদের দলবল।
ভাসতে শিখেছে নরম হৃদয়ের অধিকারী একজন পুরুষ।
অতঃপর পুরুষ, নতুন একটা সাহসের সন্ধান পেয়ে
প্রেমের সভ্যতার জয় আনতে অস্ত্র ধরেছে আজ...
বেশ কিছুদিন পর, পুরুষ আজ নিস্তব্ধ মনে দাঁড়িয়ে গেছে–
নদীর কলতান আর পাখিদের প্রেম নিয়ে কাব্য বানাতে–
কিছুটা হল।
তারপর আবার কাব্য হবে–
মুশলধারা বৃষ্টি আর বাগানের সুরভিত ফুল নিয়ে,
কাব্য হবে–সবুজের ঢেউমাখা রূপসী বাংলার কানন নিয়ে
কাব্য হবে–হেলাল হাফিজ আর রুদ্র গোস্বামী কবিতার হৃদয় নিয়ে।
কাব্য হল, বেশ কিছু কাব্য হল।
বালিকা, তোমার সৌন্দর্যের উঠোন ছুঁয়ে আজ আমি কবি!
বালিকা, হয়ত অবাক হয়ে বলছ–
অশেষ ভালোবাসা নিও কবি।
যে কলমের ডগা দিয়ে নারীর রক্ত ঝরার কথা, নারীর হৃদয় ভাঙ্গার কথা।
সেখানে নারীর আকাশসম রূপের স্লোগান!
বাহ! চমৎকার কবি।
আমিতো সাধারণ একজন বালিকা,
আমাকে নিয়ে তোমার এতো যদি আয়োজন
এতো পূর্ণতা
তাহলে আর দেরি কেন, এই নাও আমার প্রেমের দুটো হাত;
কবুল করো...