দিলতলা, কেমন আছো?
জানি, ভালো আছো।
তবুও ভালোবাসার নিয়মেই, জানতে চেয়েছি!
অভিমান করোনি তো?
আচ্ছা, অভিমান করবেই বা-কেন?
প্রিয়জনের ভালো-মন্দ জানার আগ্রহ
সবার মতো আমারও কী, থাকতে পারে না?
জানি, উত্তরে কিছু একটা বলতে চাইছ, পারছ না।

আচ্ছা বলত,
মাঝে-মাঝে এই যে মিষ্টি করে হাসো!
তোমার এই হাসি– নিশ্চয়ই ভালোবাসার ইঙ্গিত!
আমি হাসিটার যত্ন নেব–জীবনভর।

দিলতমা, অনেক ভালোবাসি তোমায়।
ভালোবাসি ঠোঁটের কোণায় লেপ্টে থাকা তোমার লাল লিপিস্টিক!
ভালোবাসি তোমার হাতে পরা সাদা ঘড়িটা!
ইদানীং
বুকের বাঁপাশ আমার, প্রেমিক হতে শিখেছে!
তোমার ঠোঁটের হাসিটুকু চুরি করে!

জানো?
এই যে তোমার আচানক মিষ্টি হাসি...
তা যদি কেউ, নকল করার পায়চারা চালায়।
তিন-পাঁচেক না ভেবেই যুদ্ধ ঘোষণা দেব–আমি!
অতঃপর অনায়াসে মেতে উঠব ফাঁসির দঁড়ায়।

পৃথিবীর মানুষের ভালোবাসায় ভিন্নতা আছে
আছে আনন্দ-বেদনার স্লোগান।
এসবে কী আসে, যায়, আমার?
আমিতো জীবন নদীর অলিগলি হেঁটে এসে
তবেই তোমার প্রেমিক হতে চেয়েছি....

দিলতমা, যেতেই যদি চাও...
আমাকে কবর দিয়ে যাও।
আর না হয় নিজেই প্রেমের কবর হয়ে যাও।
১০/১১/২০১৭