মোমবাতি নেই বলে, ঘরজুড়ে বেয়ারাম!
আঁধার এসে ঘরবাঁধে, ঘরের ভিতর!
অসুখের সংসারে হাহাকার হাহাকার...
ঘরে জুড়ে শূন্যতা। দেয়ালঘড়ির!
এইরূপ হাহাকারে, কেঁদে যায় বুক!
বুকের জমিন পুড়ে, ছারখার ছারখার!
ঘরজুড়ে হাতপাখা, টেবিলের অসুখ!
বহুকাল, নারীহীন শূন্য কিচেন–
কেঁদে যায় একটানা বারোটি বছর!
বড় বেশি একা লাগে। একখানা বালিশ–
বিছানায় পড়ে থাকে। জ্বলে হাহাকারে...!
আলমারি, আলনাও সঙ্গীবিহীন!
বুকশেলফ এলোমেলো, পুরুষের অধীন!
শূন্যতা ঘর জুড়ে, প্রেমহীন ঘর!
নারীহীন উদ্যান, সুবাস বিহীন!
কতোটা অসুখ জমে বুকের পাড়ায়–
আগুনেরা নেচে উঠে ঝড়ের মতন!
কতোটা আঘাত এলে, ঘরের দুয়ার–
শিশুর অভাবে বুক, করে চিৎকার।
খুব বেশি একা একা অনুভব হলে–
মৃত্যুর পরওয়ানা জারি হয়ে যায়!
আর কত নারীহীন কাঁদবে বাড়ি?
আর কত বিছানাটা দেব পাহারা?
আর কত হাহাকারে ছাই হবে বুক?
শত শত হাহাকারে, বুক না পুড়ুক।
বুক পুড়ে, না থাকা মানুষের অভাবে...
ত্রিশটা বছর আছি- সঙ্গীবিহীন।
ইদানীং ভালো আছি! চাঁদের সাথে, ফুলের সাথে...
২১-০৪-২০২৩