ঘরে চাল নেই, লবন নেই
জ্বালানির জন্য লাকড়ি নেই
বৃদ্ধ মায়ের প্রেসারের ট্যাবলেট নেই
শিশু বাচ্চার দুধ কলা চিনি নেই
নেই
আগুন, পানি এবং বিশুদ্ধ খাবার!
কত শত পেরেশানি–
বেচারার হৃদয় জমিনে লেপ্টে আছে
হরহামেশা!
বেচারার ঘুম নেই
একমুঠো সুখ নেই
অভাবের দাঁড়িপাল্লা সকাল হতে সন্ধ্যা
ভারী হয়ে ঝুলে আছে
বুকে, গলে, শরীরে!
বেচারার ঘরের চারদেয়ালে।
বেচারা মানুষ, বারবার খুন হয়ে বেঁচে আছে
একটা সোনালী প্রভাতের আশায়।
কবে কার হাত ধরে দুখ এসেছিল–
বেচারার দুখগুলো ফিরতে চায় না!
কত প্রার্থনা, গভীর প্রার্থনা।
মানুষ খোদার ঠিকানায় চিঠি পাঠায়
অশান্তির লগ্নে
তারপর আরাম, আয়েশে ভুলে যায়
আকাশের কথা
এক মালিকের কথা।
কেউ কেউ মনে রেখে সুখি হয় দুনিয়াবি জেলখানায়।
ত্রিশটা বছর শেষে সেই আগের মত বেচারার জীবন।
ভাবছে–
এখনও যখন অন্ধকারের হাত পা কেউ বাঁধতে এলো না
কী হবে সততার শ্লোগানে মুখরিত আবেগের?
কী হবে গভীর প্রার্থনার অদৃশ্য স্বপ্নের?
মানুষ এক কোটি বছর ধৈর্য ধরে, তারপর নষ্ট হয়!
বেচারা একালের নষ্ট পুরুষ!
০৯-০৩-২০২৩