আমাদের যেদিন দেখা হবে
পৃথিবীর কোথাও তখন মৃত্যুর দীর্ঘ মিছিল
নতুন নতুন শহরের ধ্বংসস্তূপের কথা ভুলে
আমি তাকিয়ে থাকবো তোমার মুখের দিকে।
চারিদিক কেন্দ্রহীন—ক্রমাগত ধসে পড়ছে কাঠামো—
এত হত্যা-ধ্বংস-পরাজয়-অবিশ্বাসের মাঝেও
অবশিষ্ট কিছু বিশ্বাস নিয়ে আমরা অনেক অবাক হবো।

রঙিন ক্ষুধার পাশে শুয়ে থাকা বাঘের শরীর ছুঁয়ে
কিছু রোদ পালিয়ে আসবে পরস্পরের সম্মতিতে—
এখনও বিস্ময় হতে জানি, জানি তুমুল ভালোবাসতে।
রুপোলি পর্দাগুলো সরিয়ে তুমি তাকাও
এখানে বুকের প্রতিটি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তোমাকে এঁকেছি
প্রেম গভীর হলে কেনো চিতার আগুন নিভে যায়?

তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে কেটে যাক বিপন্ন জীবন
তোমার চুলের মৌসুমি হাওয়ায় বাড়ুক পৃথিবীর আয়ু,
অনেক ঝড়ের ভেতরে—বৃষ্টিতে—স্বাভাবিক মনে হলেও
কতটা অস্বাভাবিক ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছি হে দেবদারু,
হে অনাগত অভিভাবক—ফিরিয়ে দিও না আর শূন্য হাতে।

অজস্র রাতজাগা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে ছুটে চলছে এই নদী
নিরবধি তোমাকে নিয়ে স্নায়ুর ভেতরে, রক্তের গভীরে।
যতটা দূরে গেলে ঝরে পড়ে স্মৃতি আর মহামারি ততটা
রহস্য নিয়ে ছুঁতে চাই তোমাকে—স্বপ্নে স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন বাড়ে
তবুও আজন্ম চিতার গতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছি তোমার দিকে
এবার ফিরে এলে—হে পরাজয় আমাকেও দিও বরমাল্য!