চিরদিন উপেক্ষিত ও পরাজিত জেনেও
তৈরি করি উৎকৃষ্ট বীজতলা;
বিষন্ন বৃক্ষগুলোর যত্ন নিতে নিতে মনে হয়
আমরা কি গোটা জীবন একসাথে কাটাতে পারতাম না?
রাতের গভীরে রাত হয়ে শুয়ে থাকি
মৌচাক থেকে পান করি জীবনের অবিরত তরল;
অলৌকিক পূর্ণিমায় আহত শিশির বেপরোয়া ঘুরতে ঘুরতে
শুয়ে থাকে ঘাসের উপর—কেনো এত তৃষ্ণা জাগে হৃদয়ে?
বেদনার পাশে বেদনা হয়ে বসে থাকি সারাক্ষণ
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলি এ বিষ আমার অহংকার,
আমার আরাধ্য—জীবনের গলিতে ঝরছে অনেক পাতা
তুমিও চলে যাচ্ছো—আহত এক ঘোড়া শুধু তাকিয়ে থাকে।
বহুদিন এভাবে একা থেকে—জোনাকির সাথে জ্বলে জ্বলে
অন্ধকার নিভে যায়—রাত তবুও কাটে না আমার!
পৃথিবীর বিষণ্ণ বায়ুতে কতদিন আমরা শ্বাস নিয়েছি
তবুও কেনো আমরা এত শ্বাসকষ্টে ভুগছি?
লেবু বাগানের নিস্তব্ধতা ভেঙে বুক ভরে ঘ্রাণ নিই।
পাখিদের ঘুম আর ভাঙে না—আহত বারুদ বুকে পুষে
আমি কেবলই দহনের গল্প লিখি—কোথাও পাঠিকা নেই
তবুও কেনো আমি রোজ তোমার কথাই লিখি?