খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি
খুব এক ঘুম—রঙ তার গভীর।
রাতের ভেতরে নিজেকে সাজিয়ে রেখে
পাললিক বাতাসে বাজাই অবিরত
আর পৃথিবীর বিষণ্ণ মঞ্চগুলো ইতিহাসের মৃত্যুতে
রুয়ে যাচ্ছে সংখ্যাহীন শোক।
কারা যেন হাইজ্যাক করে নিয়ে যাচ্ছে আহত ঘুড়িগুলো,
শব্দের অবয়ব, ঘড়ির মনস্তত্ত্ব, সেইসব স্বপ্ন।
যারা গিয়েছিল হরিণের খোঁজে
সময়ের বিচিত্র সাধনার প্রলোভনে
তারাই শিকারী হয়ে যায়—ভেতরে ভেতরে এই আকাঙ্খা
পুষে তুমিও চেয়েছ আমাকে ক্রীতদাস বানাতে।
জেগে উঠি রঙিন চিৎকার নিয়ে
স্লিপিং পিলের ক্ষমতাকে ফাঁকি দিয়ে
লিখি সুদীর্ঘ চিঠি—শান্তির বাণি নিরীহ হলেও
ইতিহাস কি কখনও তোমার ঠোঁটের মতো শান্তিপূর্ণ হয়?
ফল ঝরে গেলে কারও কারও আয়ু কমে
এবং দানবেরা বাড়িয়ে দেয় তাদের সুযোগসন্ধানী নখর।
গণস্নায়ুর পাশে শুয়ে আছে প্রাগৈতিহাসিক কফিন—
চিরদিন এমনই করে তুমি গেঁথেছ চতুর নীতি
আর আমি শিশুদের মতো আগুনকে বিশ্বাস করি।
খুব এক ঘুম ঘুমাতে হবে আবার
খুব এক ঘুম—গভীর তার স্বাদ
পৃথিবীতে আর ব্যথা নিরাময়ের সফল কোনো কৌশল নেই।