একটি নৌকা জলে ভাসতে ভাসতে
হঠাৎ পাখি হয়ে উড়ে গেলো মস্তিষ্কের ভেতরে
আর জলের বুক ভেদ করে কিছু অলৌকিক মাছরাঙা
খুঁজে নেয়—আয়ুর বিস্তৃত জটিলে
গেঁথে থাকে সংখ্যাহীন জলজ জীবন।
বিষণ্ণ এক ধবল নদীর তীরে
হরিণেরা ঘাস খেতে খেতে কাশফুল ফোটে
আর নগরের শেষ প্রান্তে এক অন্ধ তবলাবাদক
ঘুম ভাঙনোর আয়োজনে ছুড়ে দেয় অমল বিভ্রান্তি।
নিস্তব্ধতা-কাটা হে অলৌকিক ভাস্কর
রক্তের ভেতরে রুয়ে দিলে ফলের স্বাদ অমোঘ ব্যাধি
একরাশ বসন্ত ও সঙ্গমের উৎকৃষ্ট ঋতু—
সূর্য লাল হলে কেউ কেউ হিংস্র হয়ে উঠে কেনো?
ঘুরতে ঘুরতে শিখে নাও বিবিধ ভঙ্গি—
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর বিরতি শেষে
কয়েকটি দুপুর তাদের ঠোঁটে ধরে রাখে মাত্রাবৃত্ত চুম্বন।
ওগো কারুকাজ দিয়েছে সাজিয়ে হিরণ্ময় ব্যথায়
অথচ ভেতরের বনস্থলী ক্ষয় হতে হতে
মাথার ভেতরে ঘুমন্ত বকের ঝাঁক টের পেয়ে গেলে
তোমাকে একা রেখে চলে যায় সহজ জীবন।