১.
কবি তুই, নেই বুকের পাটা—
তুই কবি না, একটা পা-চাটা।

২.
জনসংখ্যা বাড়ছে গাণিতিক হারে
মানুষ কমছে জ্যামিতিক হারে!

৩.
ফিরবো, কিন্তু ফেরার মতো ঘর কোথায়?
ভালোবাসবো, কিন্তু মনের মতো মানুষ কোথায়?

৪.
ক্রমাগত ফুরিয়ে যাচ্ছি পৃথিবীর এই মেলায়
যেভাবে ফুরিয়ে আসে স্মৃতি তীব্র অবহেলায়।

৫.
বুকে ক্ষত শত শত ঝরছে নিয়ত
রাত আসে রাত যায় হচ্ছি আহত।

৬.
বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
সকাল-দুপুর-রাতে
বুকভর্তি স্বপ্ন ছিলো
শুধু তোমার সাথে।

৭.
কিছু কিছু ভুল কিছু কিছু ফুল
গেঁথে থাকে মনে,
কিছু কিছু রাত কিছু অপরাধ
জ্বলে ক্ষণে ক্ষণে।

৮.
যে চোখে দেখে এবং যে চোখে দেখে না—
নদী ও সমুদ্রের জল কি কখনও এক হয়?

৯.
সমুদ্র দেখতে এসে নিজেই সমুদ্র হয়ে গেলাম—
বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে অবিরত কান্না হয়ে গেলাম!

১০.
এমন করে তাকাও যেন আমি এক শাশ্বত অন্ধকার
এদিকেও আলো ছিলো যখন ছিলাম আমি তোমার।

১১.
পৃথিবীর যাত্রাপথের আমি এক অবিরত চিৎকার—
পথ ও পথিকের মাঝে কে বিচ্ছেদ রচনা করে?

১২.
দড়িকে আমার সাপ বলে ভ্রম হয়—
তুমি মানবী না কি দেবী?

১৩.
ভুলে যাবো যাবো বলে ভুলতে পারিনি আজও যাকে
অবচেতনে কেনো শুধু শুধু ভালোবেসে যাও তাকে?

১৪.
যতই উপরে উড়ছি
ততই নিচে নামছি
ততই নিচে নামছি
যতই উপরে উঠছি।

১৫.
আপাত স্নিগ্ধ জলে কিছু মাছ খাবি খাচ্ছে না কি
আমরাই খাবি খাচ্ছি আমাদের চাকচিক্যের ভেতর?

১৬.
যেন আমি এক লাইনচুত্য ট্রেন
হঠাৎ ঢুকে পড়ি তোমার জীবনে!

১৭.
নদীর ভেতর নদী হয়ে বইছি নিরন্তর
তোমার-আমার যুগলগতি বড্ড মন্থর।

১৮.
মরে গেলে প্রাণপাখি কোথায় যায়?
পঁচে গেলে মাংসগুলো কোথায় হারায়?

১৯.
আমরা তাই দেখি যা আমরা দেখতে চাই
আমরা তাই দেখি পৃথিবী যা আমাদের দেখায়।

২০.
তোমার একচোখে সূর্যাস্ত আরচোখে সূর্যোদয়
শুধু তাকিয়েই করে গেলাম তাকানোর অপচয়!

২১.
ফুরিয়ে যাচ্ছে বন্ধুত্ব, মাথার চুল, স্মৃতি ও ভাষা
হারিয়ে যাচ্ছে সেই চেনা, স্পর্শ, দিন ও প্রত্যাশা।

২২.
সত্তার ভেতরে যারা কথা বলে
সত্তার বাহিরে তারাই কথা বলে,
পূর্ণ করেছো তুমি নিজেকে যত
শূন্য করেছো তুমি তোমাকেই তত।

২৩.
তৃষ্ণার সাগরে নিত্য ভাসছি
কূলের দেখা হয়তো পাবো না,
সাঁতরে যদি পার হওয়া যেতো
জাহাজের দরকার ছিলো না।

২৪.
বাঘের কাছে আমি যেমন
আমার কাছে মাছও তেমন,
যার ক্ষুধা সে-ই কেবল জানে
যারা খোদা সে-ই কেবল মানে।

২৫.
জানি না কীভাবে পূর্ণ হলো এই শাদা কাগজ
জানি না কেমন ছিলো যখন ছিলো শুধু কাগজ!

২৬.
আগুন আর কতটুকু আগুনকে পুড়াতে পারে
দুঃখ আর কতটুকু দুঃখকে কষ্ট দিতে পারে?

২৭.
সবাই শিশু থেকে বৃদ্ধ হয়
আমি বৃদ্ধ থেকে শিশু হই,
পথ দুটি হলেও গন্তব্য একই।

২৮.
চারপাশ যত নীরব হতে থাকে
ব্যক্তিগত আয়নায় নিজেকে তত সুগভীর দেখা যায়।

২৯.
ওষ্ঠে তোমার সূর্যোদয় অধরে সূর্যাস্ত
এমন সৌন্দর্যে কে না হবে নেশাগ্রস্ত?

৩০.
শূন্য, তাই তোমাকে দিয়ে গুণ করেছিলাম
যা-কিছুর স্বপ্ন ছিলো তার সবই হারালাম।

৩১.
পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ ভূমি
হৃদয়ের এক ভাগ ভূমি তিন ভাগ তুমি।

৩২.
জীবনটা ঝুলছে
যেন তোমার কানের
দুল দুটো বাতাসে
অবিরাম দুলছে।

৩৩.
জীবনকে খুঁজতে গিয়েই তো এতটা নিখোঁজ হলাম।

৩৪.
সুখ খুঁজতে গিয়ে শোক কুড়াই।

৩৫.
কি যে চিন্তা করছি এটাই চিন্তা করছি
স্নায়ুর ভেতরে কেনো দ্বিধা নিয়ে ঘুরছি?

৩৬.
ঘুমাও, যখনই চোখে আসবে ঘুম
থাকো, যতক্ষণ থাকা যায় নির্ঘুম।

৩৭.
আমার সবকটি আঙুলে তোমার স্পর্শেরা দোলে।

৩৮. তোমাদের পা-চাটা খুবই সুন্দর।

৩৯.
এতসব বৃথা অপচয়
নিজের জন্য ইদানীং
হয়, খুবই মায়া হয়।

৪০.
হৃৎভেতরে বৃষ্টি পড়ে
কী করছো এখন,
মনউদাসের এইক্ষণে
মিস করছি ভীষণ।