ওগো বন, কতটুকু কাছে গেলে তুমি করবে আপন
কতটুকু ক্ষয় হলে তুমি দেবে নিদ-আশ্রয়।
দমিত সভ্যতার বিপরীতে
এসো অবগাহিত হই—যখন সংকেত ছড়িয়ে দাও
তুমি—লোকোত্তর নৈঃশব্দ্যে।
সংখ্যাহীন লাল কাঁকড়ার মধ্যবর্তী দূরত্বে
রুয়েছি যত সবুজাভ স্নিগ্ধ ব্যথা, জীবনের অমোঘ নীল
তুমি বাতাসের অধীনতা মেনে নিয়ে
ভুলে গিয়েছো নিঃসীম উড়ার আঙুর।
ওগো বন, ব্যথায় ব্যথায় অসীম গোপনে
আমারে দিও পদমূলে বিভ্রম।
ঘুরেছি যত অন্তহীন অভিসারে
পেয়েছি কেবল-ই আত্মঘাত;
নিজেকে খুলে রেখে মনে হয় বারবার হারাই
চলে গেলে দূরে তুমি কি কাছে আসবে না?
ওগো বন, গহীন গহন, পাঁজরের কফিশপে
নামে রোজ যে তুমুল নিস্তব্ধতা
সে কেনো আমায় খুঁড়ে খুঁড়ে খায়?
বিভ্রান্তির এই রাতে এইসব সরু সরু খালে
জলের স্থবিরতা ভেঙে আমরা এগিয়ে যাই।
ছিলে তুমি পাশে
বুঝেছি পাশে থাকলেই মেলে না ঠোঁটের স্বাদ
কাছে থাকলেই থাকা হয় না কেনো কাছে?
তুমি ছিলে পাশে
ঘুরে ঘুরে তোমার স্নায়ু কার কথা ভাবে
কারে কে ডাকে
চারিদিকের এত ভিড়ে?
বনের এইসব স্নিগ্ধতা মুহুর্তের এইসব আয়োজন
ফুরাতে ফুরাতে মনে হয়
আমার হৃদয় এক বেশ্যালয়
কতজন এলে গেলো
কিন্তু কেউ থাকলো না।