আমাদের আর দেখা হলো না।
কতদিন আহত মধ্যরাত পেরিয়ে
বুকের ভেতরে বুনেছি স্বপ্ন নানান আঙ্গিকে;
দেখা হবে—দেখা হবে এই আশায় সাঙ্কেতিক সূর্যের
পাশে শুয়ে শুয়ে এঁকেছি জীবনের দীর্ঘশ্বাস।
জলের চিহ্ন গিয়েছে মুছে কতকাল আগে
রক্তের চিহ্নে ভেসে উঠে স্মৃতি—কত শত পথে
অন্ধকারে বলেছি তোমার কথা—সংখ্যাহীন কথার ভারে
এইটুকু আশা নিয়ে—এতটা ভঙ্গুর জেনেও—বেদনার
বেদিমূলে মিসরের মমির মতো সঁপেছি নিজেকে।
দেখা হলো না হলুদ জলের পাশে সুউচ্চ পর্বত
সাগরের হাওয়ায় তোমার আলুলায়িত চুল!
তোমার চোখের দিকে তাকানোর একান্ত আশার প্রদীপ
গিয়েছে নিভে—মৃত তিমির হাড়ে সজ্জিত করেছি
অনাগত দিন—ঝরে পড়ে পালক কিংবা অনেক ঝরনা।
পাখির কলরবে মুখর—এই সন্ধ্যার বর্ণিল একাকিত্বে
তোমাকে মনে করে হাঁটতে থাকি—দূরের সব পথে এতটা
গভীর হয়ে মিশে আছো—বৃত্তের বাহির থেকে কীভাবে
তুমি নিয়েছে স্নায়ুর স্বৈর অধিকার—দীর্ঘতম এই প্রহর!
জানি কেটে যাবে—তবুও স্বপ্নের পরিধি দীর্ঘ হতে হতে
হঠাৎ ভেঙে গেলে—জীবনটাকে কেনো তুচ্ছ মনে হয়?