দাঁড়িয়ে আছি বলে ভ্রম হয়
তবে কি বসে আছি বিপন্ন পাহাড়ের  বিপরীতে?
তোমাকে—বদ্বীপের পথে পথে—কতদিন খুঁজেছি আমি বিপুল তৃষ্ণায়, উচ্চণ্ড ক্লান্তিতে—বয়ে চলে খুব নীরবে অনেক নদী, বয়ে চলে খুব সরবে সংখ্যাহীন যদি!

অনেক আলোর মাঝে উড়ে যায় সংখ্যাহীন সারস
তাদের বুকের ঘ্রাণ—অনেক অন্ধকার—পতন আর ধ্বংসের
ব্যথা বুকে বয়ে রাতের ভেতরে ঝরে সবুজ পাতারা।
চক্রাকারে চলে বিপক্ষ বাতাস—বুকের ভেতরে সারি সারি
বৃক্ষ—ডিগবাজি খেতে খেতে ছুটে যায় সুদূরমগ্ন ঠিকানায়।

কেন্দ্র নেই, ব্যাসার্ধ নির্ণয়ের কৌশল জানা নেই—প্রেম নেই
শূন্যতার চারপাশে ভিড় করে অনেক সংশয়-দ্বিধা-দুঃস্বপ্ন।
আদিম ডিমের ভেতরে জেগে থাকি আমরা পরস্পর
পাখিরা চুপ করে রয়—পৃথিবী ভরে গেয়েছে ব্যাপক দূষণে।

রণকৌশলে চতুর যারা তারা পেয়ে যায় সুস্বাদু ফল
কাঁটাতারে আমাদের হৃদয় দ্বিখণ্ডিত হয়ে উড়ে যায়—
উড়ে যায় নীলাভ মেঘ, ক্লান্তি, ফুল, সময়; তুমিও কি
উড়ে যেতে চাওনি আমার স্মৃতির পেনপটিকন থেকে?

আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে
তোমার হৃদয় পেয়েছে আজ পৃথিবীর ফসল।
কোথাও কিছু সৃষ্টি হলে কোথাও কিছু ধ্বংস হতে হতে
তোমার শরীরে সরীসৃপ—তবুও সমুদ্রে—তবুও তন্দ্রায়—
পেয়েছি যারে তার কোনো নাম ছিলো অনেক নামের পাশে।