সংখ্যাহীন মাতাল সূর্যকর,
তোমার বসন্তের সিল্কি চুল ভেদ করে—
শরীরে সঞ্চারিত করে আরোগ্য।
চারিদিকের সবুজের মাঝে—
তোমার পায়ের কাছে নতজানু;
ঝরা পাতা আর সুগভীর নৈঃশব্দ্য জানে—
রাত সুগভীর হলে, তোমার শরীরে বিষণ্ণতা নামে!
হাওয়ার অবস্থান জানা নেই—
নিরুদ্দিষ্ট মেঘ ও ফসিল,
জটিল করেছ নিজেকে,
পৃথিবীর প্রচলিত পথে আর শান্তি পাবে না—
জটিল, আরও জটিল হওয়ার বাসনায়—
তুমি কি বুঝবে না এইসব কৃত্রিম বিপন্নতা?
দুচোখে ঘুম নেই তোমার—
বইয়ের স্তূপ থেকে ভেসে আসে বিষাদ-বেদনা-জটিলতা;
কেউ একজন চেয়ে থাকে—
নিরুত্তর জেনেও,
ঝুঁকি নিয়েও, রোজ ছুটে চলে খাদ্যের তাড়নায়।
অতীন্দ্রিয় তোমার অবয়ব—
বিবিধ ব্যাধির মাঝে সন্ধান কর—
সমুদ্র, পাহাড়, ফুল,
সহজ আনন্দ নিভে গেলে মানুষ মরে যায়—
পৃথিবীর সোনালি কাদায় তুমি নেমে এসো—
ঘাসের ওপর শুয়ে, আকাশের সব রেখায় আমাকে খুঁজে দেখো।
অচিকিৎস্য এই ব্যাধি—
তান্ত্রিক দক্ষতা সুনিপুণ—
ওষ্ঠ শুষ্ক রেখে হৃদয়ে শান্তি পাবে না, পাবে না—
আমিই তোমার আরোগ্য, রোগমুক্তি—
অব্যর্থ ওষুধ!
ওগো সন্ধ্যামালতী, বিভ্রান্তি—
সংশয়—সংকটে,
হৃদয় ভীষণ পিষ্ট—
তুমুল অবিশ্বাস আর ভাঙচুর
নিয়ে স্থান ও কালের গণ্ডি পেরিয়ে
চলো ছুটে যাই কেন্দ্রহীন ঠিকানায়।