১.
কতদিন কতরাত ধরে পাইনি তোমার কোনো খবর
কষ্টে কষ্টে একা থেকে থেকে হয়েছি কৃষ্ণগহ্বর।

২.
মানুষের চোখ দেখে দেখে শিখেছি নিষ্পাপ প্রতারণা
ছদ্ম সান্ত্বনার নিচে লুকিয়ে রেখে তুলে বিষাক্ত ফণা।

৩.
হলে রাত খুঁজি হাত যা ছিলো আশ্রয়ের আশ্বাস
হলে রাত স্মরি বেহাত মনে করে ফেলি দীর্ঘশ্বাস।

৪.
বুকের ভেতর অনেক নদী জানেনি আজও কেউ
কেমন করে অষ্টপ্রহর জাগিয়ে তুলি আমি ঢেউ।

৫.
যতদূর গিয়েছি আর যতদূর যাব নেই কোনো পার্থক্য
এই দেশের সব মানুষের স্নায়ুতে জমেছে অনন্ত বার্ধক্য।

৬.
যতদূর যেতে চাই তোমাকে নিয়ে হারাতে চাই ততদূর
ততটুকু হারাতে চাই যতটুকু হারালে ঠিক থাকবে সুর।

৭.
ভেতরে আঁকি বেদনার পাখি তোমার মতো কেউ
চেনা জলে নানান ছলে চোখে আজ সমুদ্রের ঢেউ।

৮.
ডাকতে ডাকতে হলাম ডাহুক তবুও তুমি এলে না
ঘুরতে ঘুরতে হলাম বৃত্ত তবুও ভালোবাসলে না।

৯.
যেখানেই পা বাড়ায় সেখানেই তোমার উচ্চণ্ড ঘ্রাণ
মৃত্যু, ভালোবেসে নয়, ঘৃণায় কেড়ে নাও এই প্রাণ।

১০.
নেই সেই নদী নেই সেই জল নির্মল তুমুল ঢেউ
এই বুকে চোখে অসুখে-বিসুখে নেই তেমন কেউ।

১১.
দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে যতবার খুঁজেছি তোমায়
দৃষ্টির সীমানা হারিয়ে ততবার নিয়েছি বিদায়।

১২.
পৃথিবীর যে প্রান্তে আছো তুমি সে প্রান্তে আছে শুধু সুখ
বিপরীত প্রান্তে থাকা আমার আকাশে জমে শুধু দুখ।

১৩.
কথা ছিলো তোমাকে পাঠ করবো প্রতিটি গভীর স্তব্ধতায়
তুমি ভুলে যাবে আমায় জীবনের মতো কঠিন ব্যস্ততায়।

১৪.
এই শহরের বুকের নিচে দেখেছি দুঃখের ব্যস্ত সুখ
মানুষ কি আর মানুষ আছে চারিদিকে এত অসুখ!

১৫.
রাজপথ নাম তার হেঁটেছি আজীবন প্রজার মতো
হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেও জমেছে স্বপ্নভঙ্গের ক্ষত।

১৬.
আমি আমার ভেতরে এক অনন্ত নিঃসঙ্গ নরক

১৭.
কিছু কিছু পুরুষের কোনো ঘর থাকে না-
যেমন আমার, শুধু তোমার শরীর ছাড়া!