যেকোনো বিদায়ে আমি আর দগ্ধ হই না, মুগ্ধ হই।
ঝরা পাতার দৃশ্য দেখে বড় হওয়া, হে সমুদ্রসন্তান
সময়ের ডানা থেকে খসে পড়া পালক—ঘুমের সাইরেন—
মস্তিষ্কের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করা যেসব দূরের চঞ্চল হাওয়া
হলুদাভ রেখায় চিরদিন গুঁজে দেয় হাঁসমেঘ, মুঠোক্লান্তি
রাত্রির পাশে শুয়ে থাকা তাদের বিদায় আমাকে মুগ্ধ করে।
পচনে লবণ ছিটিয়ে দিতে দিতে তুমি চলে যাও জলে
ডানার ব্যাসার্ধ কমে যেতে যেতে আয়নায়—ফুলে ও দ্বন্দ্বে—
তোমার শাদা চুল, সমুদ্রের ফেনা, অতীন্দ্রিয় ঝরনা
ডিগবাজি খেতে খেতে শীতের চুম্বন খসে পড়লে
আমি মুগ্ধ হই—মূলত আমি তো সেই কাঠ যে করাতের
নিচে শুয়ে শুয়ে তর্জমা করি জীবনের বিচিত্র বিদায়।
বিরল সৌন্দর্য ব্যাধিতে আক্রান্ত আমার সমস্ত অস্তিত্ব
বিশুষ্ক হতে হতে অ্যাকুরিয়ামের গোধূলি গলে পড়ে;
স্বপ্ন থেকে কিছু নদী, অন্ধ রেলগাড়ি—ফণা তোলে—
আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোর হলুদ দেয়াল টপকে ভেঙে দিতে
চায় বিধবা বিকালের ঘুম—কিছুই নেই—শুধুই হাড়ঘড়ি ।
সময় এগিয়ে চলে সময়কে খেয়ে খেয়ে—দগ্ধ হলেও
মুগ্ধ হই—মুগ্ধতা হলো সে কয়েন যার বাজারমূল্য নেই
কিন্তু তোমাকে প্রলুব্ধ করে নির্মাণ করে অদৃশ্য দেয়ালভাষা।