অলিগলিতে হোঁচট খেতে খেতে খেতে খেতে
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেসে যাই—
তোমার শহরে সমস্ত কষ্টগুলো রেখে গেলাম
নিয়ে গেলাম অন্তহীন শূন্যতা!

স্বপ্ন ভেঙে গেলে পাখিরা আত্মহত্যা করে
আর হৃদয় স্ফীত হতে হতে ঘনীভূত হয় অন্ধকারে।
বেদনার অধিক বেদনা বুকে চেপে দাঁড়িয়ে থাকি
স্নায়ুর ভেতরে সিংহেরা শুয়ে থাকে সারাক্ষণ।

অনেক স্বপ্ন ছিলো—অনেক সাধ—তোমার মুখের
দিকে চেয়ে জীবন কাটানোর প্রবল তৃষ্ণা!
কেওক্রাডং-এর চূড়ায় তোমার ভাসন্ত চুলে মেঘদলের
খুনসুটির দৃশ্যটা থেমে আছে—সময় থেমে নেই!

অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম তোমার শহরে
অনেক স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি!
বারবার আসার ব্যাকুলতায়—তোমাকে দেখার বাহানায়
আর আসা হবে না—বলেছি না-বলা কথাগুলো দেয়ালে
দেয়ালে—তুমি শুনবে না জেনেও গেয়ে যাই গান।

আমার সমস্ত ধ্যান শুধু তোমাকেই লক্ষ করে
আমার সমস্ত জীবন শুধু তোমাকেই কেন্দ্র করে
বেদনা গাঢ় হয়—তোমাকে কেউ পেয়ে যাবে
জলের মতো সহজে—অনেক তপস্যা করেও
তোমাকে হারাতে হবে গভীর গভীর দীর্ঘশ্বাসে।