এমনকি ব্যথা নিয়ে বেঁচে আছো, বেঁচে আছি—
হে জটিল, অতিক্রান্ত দূরত্বে চিরদিন পৃথক হতে হতে
পাহাড় কেনো তবুও চেয়ে থাকে মৃত্তিকার দিকে?
একদিন ফুরিয়ে যাবো বলে প্রতিদিন অল্প অল্প ফুরাই— ফুরাতে ফুরাতে তুমি শুনে ফেললে হে ধ্বনি হে বর্ণ
কোথায় রাখবো আমার বিস্তৃত বিষাদ চূর্ণ চূর্ণ চতুর্ভুজ?
নিজেরই ক্ষয়ে মৃত্যু হয় লোহার—
ভেতরে এত এত ঘুণপোকা নিয়েও হে আমার শরীর
কীভাবে আজও ধরে রেখেছো এই অবয়ব এই যৌবন?
ঘুরতে ঘুরতে পাখাগুলো পাখি হয়ে যায়—
ক্লান্তি ছিটিয়ে দিও; এইখানে জীবনের কাফেলা শেষ হলে
কীসে চুমু দেবে—জীবনে না কি মৃত্যুতে—ভাবতে ভাবতে
ভেঙে গেলে ডাল ভেসে গেলে ঘর ঝরে গেলে চুল
ভুল ভুল আলোকে যারা চিরকাল আলো ভেবেছে!
দ্বৈত সংকটে—শরীর ও মনের—সীমাবদ্ধতা মেনেও উড়ি
আমি এক ঘুড়ি—সুতোর প্রতাপ ভেঙে মাঝে মাঝে স্বাদের
তীব্রতায় গিয়ে বালকের হাতে মরি—নাটাই হাতে কে
উড়াচ্ছে মাথাকে, জীবনকে আরও আরও শোকে ও অসুখে
টুকরো টুকরো মাংসের ভাঁজে স্পন্দিত অস্পষ্টে
কারা যেনো এঁকে দেয়—অনুরাগে কিংবা ঘৃণায়—বিভ্রান্তি।