বেদনারা গাঢ় হলে অনেক সিংহের মৃত্যু হয়।
রক্তের ভেতরে ক্রমাগত হামাগুড়ি দিতে দিতে
চলে যাই সময়ের ঊর্ধ্বে—বিচিত্র বেদনার পরতে পরতে
তুমি কেনো দাঁড়িয়ে থাকো সুদূরমগ্ন ঠিকানায়?

অনেক প্রেম নিয়েও কেনো এত শূন্যতায় ভুগি?
বারবার—উপেক্ষিত জেনেও—তোমারে কেনো এত চাই?
রঙিন সুতোর আয়ুরেখায় রাতের জ্বলজ্বল সমস্ত কষ্ট
পেরিয়ে দেখেছি আমার হৃদয় কেবলই অতীতগন্ধী।

তাকিয়ে থাকি—ভাবি—ক্রমাগত ব্যাধি-ভাঙচুর সত্ত্বেও
কেনো আমার হৃদয় শুধু তোমাকেই খুঁজে?
শব্দেরা শব্দহীন হতে হতে ক্রমশ নিস্তব্ধ সবুজের দিকে
ছুটে যায়—বৃষ্টির প্রার্থনায় কমে আসে সুখের ঘনত্ব।

সেলাই করা দুপুর শরীরে জড়িয়ে রুয়ে যাই সংখ্যাহীন আশা
তবুও চালিত হই নিয়ত হতাশার দিকে—
জীবন কাউকে কাউকে ভীষণ প্রতারিত করে
আর কেউ না চাইতেই পেয়ে যায় বিস্তীর্ণ আপেল বাগান।

নিভতে নিভতে ফের জ্বলে উঠা সলতের মতো
একা একা লড়ে যাই—অবারিত শূন্যতা নিয়ে এই বুকে—নানান শোকে—অসুখে—তবুও উড়েছি যতই ভুলে ক্ষত
তোমাকে না-পাওয়ার দৌড়ে হয়েছি ততই ক্ষত-বিক্ষত।