কী যেন এক সংকেত ছড়ায় পাতায় পাতায়
কী যেনো এক রহস্যে তুমি ঝরে পড় জলে!
গভীরে ঢুকিয়ে দিলে বেহাতের স্পর্শ
চিরকাল লুকোচুরি খেলে সন্ধ্যার মুহুর্তগুলো
আর দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলে, হে সুরধুনী
নগরীর শরীর থেকে ঝরে পড়ে অজস্র ক্লান্তি।
শিকারির ভয়ে থাকি খোলসের ভেতরে
জল থেকে জলে সুগভীর ছলে
মুহুর্তে মগ্ন করে চিহ্নহীন কোথায় হারাও?
ওগো হরিণ, আমি তো সেই প্রেমিক
কেওড়ার ফল বুকে নিয়ে ঘুরিফিরি
অথচ কোনো এক ভয়ে তুমি জলে ফেনা তুলে চলে যাও!
দূরে ম্লিন আলোয় খেলা করে সংখ্যাহীন পাখি—
নির্দিষ্ট সময় শেষে যেসব জাহাজ গিয়েছে চলে
তাদের যাওয়ার চিহ্ন থাকে কি জলে?
চারিদিকে ঘনঘোর রহস্যের গন্ধ ছড়িয়ে
ডানার নিচে ছায়া রেখে পাখিরা কাকে ডাকে?
একবার পেলে তোমাকে—শোকে—শূন্যতার চারপাশে
থরথর প্রদীপের চূড়ায়
আমাকে অপেক্ষায় রেখে তুমি কেনো থাকো প্রতীক্ষায়?