আমার হাড়গুলো খুলে নাও
আমি আর এই ব্যথা বইতে পারছি না
গভীরে চুপ করে বসে দেখি নিজেরই পরাজয়।
ফুলের ঘ্রাণকে পৃথক করেছি নিজস্ব কৌশলে
তবুও কেনো নক্ষত্রের মতো আমি এক একা!
আমার স্বপ্নগুলো ফিরিয়ে নাও
উৎসবের মঞ্চে আমি কি আর আশ্রয় পাবো না?
দ্রুতগামী রাতের কুহকে বাজিয়েছি জীবনের সুর
তোমাকে লক্ষ করে খুঁড়েছি শব্দের শরীর
তবুও কেনো এত অবহেলা, হে পৃথক আকাশ!
চেয়েছি যত অন্তহীন পথে তোমাকে অবিরত
পেয়েছি উপেক্ষা—মৃত্যুর জিরাফ দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে
তোমার কণ্ঠ অনুকরণ করে কেনো ডাকে বারবার?
হঠাৎ কোনোদিন দেখা হলে—অনেক ব্যথার পরে
তোমাকে বলবো কেনো এত উপেক্ষা করেছিলে?
সমস্ত শরীরে কষ্টের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে
মাথার ভেতরে সংখ্যাহীন বৃক্ষ শুকিয়ে যাচ্ছে রোজ,
হাওয়ায় হাওয়ায় গভীরের গাঢ় হাত হয়েছে সুপক্ব।
তবে কি এবার বিদায়—ভ্রান্তির আগুন ঠোঁটে নিয়ে
কাটিয়েছি শীত—তোমার চোখে এখন বসন্তের ফল!
যেসব শব্দের গভীরে সাজিয়েছিলাম আমাদের গল্পগুলো
তারা আজ ক্লান্ত—প্রনষ্ট—স্বপ্নগুলো যাদের ঘষেমেজে
করেছিলমা চকচক—অনাদরে বুকের স্রোত গিয়েছে কমে।
আমাদের দেখা হলে বহুদিন পরে—সময়ের হলুদ দৃশ্যে
দেখো নেবো আমাদের যুগল জীবন, আমাদের ভুলগুলো!