ডাইসেক্টিং টেবিলে মুখোশকে—প্রথাকে—বোধকে
কাটছাঁট করতে করতে
একটি হর্নি দুপুর ঢুকে পড়ে জনতার মস্তিষ্কে।
ঘোলা জলের মাঝে অতীন্দ্রিয় মাছেরা মৃত্যুর শঙ্কায়—
আশঙ্কায় কোথাও কোথাও মারণাস্ত্র বাড়ে
আর শিশিরের ঘ্রাণে তোমাকে ছোঁয়ার ধ্বনি হওয়ার
নেশায় সেলাই করতে থাকি বিপন্নতাকে।
বিষণ্ণ হাওয়ার বিপরীতে ছায়াসক্ত বিলের ত্রিভুজে
উড়ে বেড়ায় অজানা গন্তব্যের কিছু পাখি;
দুটি আঙুলের ফাঁকে নিজেকেই খনন করেছি কি না এই সংকটে এই কঙ্কালতন্ত্রে
শীর্ণ ছায়া ডিগবাজি খেয়ে পান করে উদগ্র বাসনা।
ছুঁতে গেলেই পড়ে থাকে সংখ্যাহীন শব্দের পালক
ধরতে গেলেই ধরে ফেলি স্নিগ্ধ ঘাসফুলের শরীর।
মাতাল ঝরণা চৈতন্য হারিয়ে
চুম্বন একে দেয় পরিত্যক্ত পলিথিনে
আর ঝকঝকে অস্থিরতা গলায় ঝুলিয়ে
আমাদের হাড়ের ভেতরে কিছু অন্ধবাদক
অনুবাদ করে চলে জীবনের ক্লিন্ন ক্লেদ।
স্থানচ্যুত হলে দৃশ্যের ভেতরের হাড়গুলো
উৎকলিত মুহূর্তে বিস্ফোরিত চাহনির
আবেদন রঙিন কাঁথায় আঁকতে আঁকতে
নিজেকে চিনে ফেলার এই সীমাহীন আড়ালে
আমাদের রাতগুলো কি থেমে থাকবে ট্রেনের চাকায়?