ধ্যানসন্ত দোয়েলটি বসে আছে—একটি বিশীর্ণ ডালে
কিছু রোদ তার শরীর ছুঁয়ে চলে আসে আমার মস্তিষ্কে।
সংখ্যাহীন ধুলো আর মালিন্য ঘেরা এই কঙ্কালতন্ত্র
প্রতীক্ষায় থাকে—মুমূর্ষু এক নদীর তীরে।
ছাদে বেড়ে উঠা ফুলগুলো শুকিয়ে যায়—
আমাদের হৃদয় শুকিয়ে গিয়েছে বলে কি তারা শুকিয়ে যায়
না কি—পৃথিবীর রাতের গান সুদীর্ঘ হতে হতে আমাদের হৃদয় খুঁড়ে বেড়ায় কল্পনদী?
পলিথিন স্তূপের ভেতর থেকে উঁকি দেয় এক সোনালি বেঁজি
গুল্মলতার বুক থেকে ছড়িয়ে পড়া শব্দসৌরভে
আশ্রয় দিও—ছিটিয়ে দিও কিছু চুম্বন।
হে কুকুর, এত অনাহার এত অবহেলা নিয়ে
যখন মস্তিষ্কের ভেতরে ফোটে আশ্চর্য ফুল
মরণের ধীরব্যথা নিয়ে কেনো এগিয়ে যাও ঊর্ধ্বপতনে?
দৃশ্যগুলো পান করা শেষ হলে কাকে ডাকে—এত ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে কেনো সাজে ফুল
কেনো এত পসরা সাজিয়ে বসে থাকে ফলদোকানী?
দলিত মথিত এই হৃদয়—কনডোমিনিয়ামের পাশে বস্তি—হঠাৎ ঢুকে গেলে কোনো বসন্তের বিকেলে নিজেকে বড্ড বেমানান লাগে!