দূরে সরে যাই—দূরে সরিয়ে দাও—দূরে সরে যাও!
নক্ষত্রের কাছে যত ছিল অনুযোগ, সেগুলো এখন
সমুদ্রের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অভিযোগের মতো,
তোমার অগোচরে, উত্তরহীন, গভীরতা এখনও খুঁজে পাই।
কী নামে তোমায় ডাকবো, এই নির্বাসনের পরিণামে,
পোস্টমর্ডান দুপুরে শব্দেরা যেন পাখি হয়ে উড়ে
তোমার শরীরে ফিরে আসে, নাচের দৃশ্যে আটকে যায়,
নৃত্য ও শূন্যতার ভেতর তোমার অন্তর্গত রূপ।
যতিচিহ্নের মেঘলাবারান্দায় দাঁড়িয়ে,
হাতের মুঠোয় তুমি, ভেঙে ফেলা সেই পুতুল,
তুমিই তো—গভীর নিদ্রায় মগ্ন—পাহাড় ও অরণ্যের মাঝে
বলেছি ব্যথা, যত বেদনা বয়ে আনে দিনের অবসান,
রাতের শূন্যতায় তলিয়ে যায় হারানো সময়,
কিছু কিছু কাছের থাকাও কি—না-থাকায় রূপ নেয়?
যা কিছু আঁকড়ে ধরি, তা ভেঙে পড়ে অন্ধকারে,
যা কিছু ভালোবাসি, তা বিচ্ছেদের ভাসাতে গিয়ে হারায়,
রঙিন সুতোয় বাঁধা আছ—এই দীর্ঘ কাঁথার মধ্যে,
অভিশাপ আঁকানো দৃষ্টির মতো,
ছুঁয়ে যাওয়া তোমার অস্তিত্বে, পাখি ভেবে,
রুপোলি রাতে—বিপরীতে দাঁড়িয়ে,
তোমার হৃদয়ে ভাষার অসুস্থতা কি অবশেষে বোধ হয় না?
এখানে আমি তোমাকে অনুভব করি—
বিভ্রমে পূর্ণ, অবশেষে বুঝতে পারি—
যত দূরে গিয়েছিলে, তোমার শূন্যতা আরও কাছে এসেছে।