সাবধান! সাবধান!
চারিদিকে ঘুমন্ত জনস্রোতের ভেতর থেকে এক দৈত্য
দীর্ঘ হতে হতে সময়ের বিস্তৃত বিস্ফোরণের অপেক্ষায়
ওত পেতে আছে।
ক্রমাগত শহরের দেয়াল, রাজপথ, বাজার,
বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি,
জনআবেগ, জনগণমনের হঠাৎ কাঠামো ধসিয়ে
আমাদের মৃত্যুর ওপর দিয়ে স্থায়ী হবে।
কিংবা কেউ ঘুমিয়ে নেই
ঘুমের ভান করে যারা জেগে থাকে কিংবা বাধ্য হয়
চারিদিকে উৎসবের মাঝে হঠাৎ আক্রমণের ব্যাপকতায়
আমরা হেরে যাবো। আমরা হেরে যাবো।
চলো, তবুও আমরা বিশ্বাস রাখি হৃদয়ে
এবং আরও ঘনিষ্ঠ হই ঠোঁটে—চোখে—শব্দে।
তুমি বড্ড অবিশ্বাসী—সেই দৈত্যের ভয়ে জেগে থাকো রাত
কত সুরে গান গাই
তবুও তোমার চুলের অনিশ্চয়তায় জ্বরে আক্রান্ত হই!
চারিদিকে সংখ্যাহীন চোখের ভয়ে—
চিরকাল এমনই করে নতুন নতুন ভয়ের জন্মে
আমার কবিতার গোরস্থান দীর্ঘ হতে থাকে!
সাবধান! সাবধান!
কোনো হাসিই নির্মোহ নয়
কোনো শব্দই নিরীহ নয়
মুখের ভেতরে থাকে অনেক মুখোশ!
সেইসব মুখোশ বাড়তে বাড়তে—আগাছা ভেবে যারা উপেক্ষা করে—হঠাৎ বৃষ্টিতে জমি ভরে গেলে—কিংবা
একটি দেশ—বেশি দূরে নয়—যদিও সবাই মাদকের
ঘোরে হল্লা করছে—বেশি দূরে নয় সেই দৈত্য তার
নখর ছড়িয়ে দিচ্ছে টেকনাফ টু তেঁতুলিয়ায়।