উদয়ের মত অরুণ জীবনের সুর ভাঙ্গে চিরমৃত ক্রেমলিন
হরিতের আধভাঙ্গা বীজ ক্ষুব্ধতায়,জনতার ধিক্কারে
শিশির ভালবেসে শুয়ে আছে শরীর ও মনের ভিতর
উৎসারিত আলো, ইঙ্গিতে ছড়িয়েছে অন্ধকার বিমুগ্ধতা
এখন অবেলায় ডেকো না আর। সব শীত রুগ্ন হয়েছে আজ
বন্দরের অনন্ত ভোর পালিয়েছে রাজার শাসনে
রৌদ্রনীল শ্যমলে ক্ষণিকের আলো। সূর্য নীলিমায় ডোবে
ক্রীতদাস কোনো এক দাঁড়িয়েছে নগরের কোল ঘেঁষে
সমুদ্র-যাত্রীর মতন উৎসুক চোখ তুলে নোঙ্গর হাতড়ায়
আলোয় তীক্ষ্ণ হয় শতাব্দীর দীর্ঘ ছায়া। বাতাস জুড়ে
ডানা ঝাপটায় কৃষকের নিরুৎকীর্ণ মাঠ, উদ্বিগ্ন লাঙ্গল
উড়ে যায় রাঙ্গা রোদ, আঁধার তাড়িয়ে ফেরে বৈভব-আলো
অপরান্হে সমস্ত গাছের মাথায় এসে জমিয়েছে নিরীহশোক
এ যুগের চাঁদ, অস্তগামী সূর্যের মাঠে বেওয়ারিশ পরে আছে