বিস্মৃতির দিকে উড়ে গেছি। প্রাতঃকাল-চোখের ভিতরে,
বলেছিলে-- বিকেলের ম্লান-তারা জেগে আছে
ভীত মুখশ্রীর মতো জেগে আছে হেমন্তের হলুদ ফসল
অক্ষরে জমে আতঙ্কের হিম, মুখের ভনিতা
রঙিন রৌদ্রে আলো খলবল। উৎসব আমাদের গ্রামে
পাখির ডানায় নেমে এলো বিহ্বল দুপুর
ডাকপিয়নের স্নিগ্ধ কলরবে বাইরে ছুটে আসি
দেখি, হাতে তার অল্পপ্রাণ-দিনের মতো আকীর্ণ ধূসর
গোধূলির রঙে আঁকা তোমার বিয়ের নিমন্ত্রণ
নিঃসঙ্গ মুখ বেদনার ঘর বাঁধে স্বপ্ন বুননে
বহুদিনের অশ্রু খুলেছি মেঘের দুপুরে-- তবু
গহন ক্ষতি রক্তের পথে উৎসব করে, প্রেমিক শাশ্বত
এ এক রীতি-হীন রক্ত-ক্লেদ মিশে থাকে অন্ধের মুখে
টের পাই আড়ালে দাঁড়িয়ে দুঃখের অগণন পাখি
যুদ্ধের বার্তা পেয়ে উড়ে যায় বেদুইন মেঘে
পাখিদের মন ভাঙ্গলে, মানুষ আজও রাত্রি গহনে কাঁদে