বলো এই হাত কতোটুকু হিংস্র-সুঠাম হবে!
এই মাধবীলতার মতো নমনীয় আঙুলগুলো
এই চোখ, এ-চিবুক কতোখানি সর্বগ্রাসী হবে
বলো আমি কতোটুকু মানুষ হবো, কতোটুকু পশু!

হাড়ের ভেতরে আছে এক লুকোনো অনাহার
আছে ঋন— আছে গত মানুষের অসহায় পচন।
জীবিত খুলির মধ্যে বিক্ষোভে ন'ড়ে ওঠে এক লাখ তীব্র করতল
        একলাখ পুষ্টিহীন শিশুর ক্ষয়মান দেহ।
কালো ফুল, কালো হৃদপিণ্ডের শেষতম খেয়া বলো, বলো আমি
কতোখানি বিক্ষোভ হবো, কতোখানি রক্ত হবো?

নিসর্গে নতজানু মন তবু তো তরুতল দেখে
শৈশবে শীতের ঝরাপাতাদের লাশ কুড়ানোর দিনে
                  ফিরে ফিরে খুলে দেয় বুকের দরোজাখানা,
                  হিরন্ময় রুটি—ভাত—বিক্ষোভ—বিশ্বাস বলো
                  আমি কতোজন শ্রমিক হবো, কতোজন দুর্বিনীত ঘাতক।

বলো আমি কতোখানি প্রেম হবো,কতোখানি বিনিদ্র রাত
সাপের দাঁতের মতো কতোটুকু বিষাক্ত হবো স্বভাবে শরীরে,
বলো, বলো আমি কতোখানি হিংস্র পাশবিক হবো, কতখানি
               নিসঙ্গ ঈশ্বর!

২০.০৭.৭৬ নীলক্ষেত ঢাকা।

(উপদ্রুত উপকূল; ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)