থামাও, থামাও এই মর্মঘাতী করুন বিনাশ,
এই ঘোর অপচয় রোধ করো হত্যার প্লাবন।
লোকালয়ে ভোর আসে তবু সব পাখিরা নিখোঁজ-
শস্যের প্রান্তর খুলে ডাকি আয়, আয় প্রিয় পাখি,
একবার ডেকে ওঠ মুখরতা, মৃত্যুর সকালে
বাজুক উজ্জ্বল গান- জনপদ নিসর্গ জানুক
এখনো পাখিরা আছে, গান আছে জীবনের ভোরে।
থামাও মৃত্যুর এই অপচয়, অসহ্য প্রহর।
স্বস্তির অস্থিতে জ্বলে মহামারী, বিষন্ন অসুখ,
থামাও, থামাও এই জংধরা হৃদয়ের ক্ষতি।
ইটের দেয়াল ভেঙে যে-ভাষার সদর্প উত্থান
যে-ভাষার নিত্য জন্ম মানুষের জ্বলন্ত শিখায়,
আজ কেন সে-ভাষার কলরব শুনি না জীবনে?
করা তবে সুখি হয়, নীলিমায় ওড়ায় ফানুস!
কারা এই দুঃসময়ে চ’ড়ে ফেরে অলীক জাহাজ?
ঘর ভরা মৃত্যুহিম, লোকালয় ভয়ার্ত শ্মশান।
গান নেই, পাখি নেই, শব্দ নেই- নিশব্দ থামাও
এ ভীষন বেদনার রক্তচোখ, ডাকাত নৈশব্দ…
মৃত্যুকে থামাও, বলো, আয় পাখি, আয় মুখরতা,
একবার ডেকে ওঠ এই কালো নির্মম সকালে।
লোকালয়ে গান হোক- জনপদ, নিসর্গ জানুক
এখনো পাখিরা আছে, গান আছে জীবনের ভোরে।
০৩/০৯/১৯৭৭
মিঠেখালি, মোংলা।