সে ছিল কুসুম-লতার ন্যায়
মায়াবতী, মোহিনী।
এক ফোঁটা জল বৃষ্টি হয়ে নামবে বলে
সহস্রকোটি বছর আকাশের পানে চেয়ে থাকা চাতক পাখি।

জানতে চাইলো, কে তুমি?
বললাম: আমি ওই দূর নীলাম্বর।
আমাতে নেই কোনো মেঘ; কিংবা শীকর।
তবু কেন চেয়ে থাকো নিরন্তর?

সে বললো - তুমি কি ওই দূরে যাও?
যেখানে বর্ষায় মেঘেদের বাস;
যেখানে নেই কোন চৈত্রের ভীড়?

বললাম:  চৈত্রে কভু পেয়োনাকো ভয়।
আমি দিব ছায়া কিংবা কুঁড়েঘর;
যেখানে শান্তির নীড়।

সে বলল-  তুমি কি বৃষ্টি হতে পারো?
বললাম- আমি বরং সাগরের বুকে নামি?
তুমি ওই দিগন্তে এসো।
তৃষ্ণা সকলি মিটিয়ে,
না হয় একটুখানি হেসো!

বলল সে হেসে;
তুমি কি সকাল হতে পারো?
আমি তাকে দেখালাম বুকের বামপাশ জুড়ে
দিগন্তের রক্তিম লাল সূর্য।

পাখিটি এবার
উড়াল দিতে চাইলো মেঘেদের দেশে।
সূর্যকে তাই আড়াল করে দিলাম
হাসিমুখে যাক চলে সে।