এ কবি বিরহে ভাঙে পাহাড় চূড়া
অভিসারে নাচে নৃত্য;
উল্লাসে মাতে যোগিনী'র সাথে
করে মুক্ত সকল ভৃত্য।
এ কবি সলিলে করে প্রেমের সন্ধি
অশ্রুতে করে বান;
করে বাঁশরীর সুরে বিরহী রাধিকা
গায় পবনের সুরে গান।
এ কবি শূন্য আকাশে লম্ফ দিয়া
ছিনিয়া আনে গ্রহ;
সংশপ্তক মহাবীর সে
কখনো ছাড়ে না দ্রোহ।
এ কবি বন্ধুর যত, করে সমতল
সঁপিয়া অন্তর দেহ;
সদ্যোজাত শিশুর মতো
ভুলিয়াছে সব মোহ।
এ কবি অসীম সীমায় জীবন দেখে,
থাকে অসীম প্রেমে মগ্ন;
ঘুড়ির সাথে বাধিয়া দিয়া
আকাশে উড়ায় সপ্ন।
এ কবি লুটে অহঙ্কারী'র শীর্ষ চূড়া
ধুলি তে লুটায় রত্ন;
করে মজলুমেরি জিম্মাদারি
করে রুগ্নদেহের যত্ন।