সেসব অনেক দিনের কথা-
বাপ্পাদা-কে দারুণ লাগতো আমার।
মাঝে মাঝেই দেখতাম সুটেড বুটেড,
যেতে যেতে মাকে চেঁচিয়ে বলতো-
“কাকিমা আশীর্বাদ কোরো”।
মা কপালে হাত ঠেকিয়ে বলতো-
“দুগগা দুগগা।”
আমি জানলায় বসে টা টা দিতাম।
আমায় বলতো-
“পাগলি, পড়তে বোস।”
মা-রা বিকেলে মাঠে বলাবলি করতো,
“বাপ্পাটা ঠিক চাকরি পাবে দেখো।”
বাবা বলতো, “বড় হয়ে বাপ্পা দাদার মতো হোয়।”
এখন আর সেসব কেউ বলে না।।
সে এক বিকেল ছিল-
মাঠে কেউ খেলতে এলো না।
ভিড় জমে উঠলো বাপ্পাদা-দের গেটে।
জেঠিমার কান্না এলো কানে।
মা বলল, “যাবি না।
ছোটোদের ওসব দেখতে নেই।”
আর কোনওদিন দেখা হলনা।
মা এখনও দুগগা দুগগা বলে।
তবে, আমি আর জানলায় বসিনি কোনদিনও।
যদিও জানি বাপ্পাদা আজও আছে-
ওর মাকে লেখা শেষ চিঠির ভাঁজে।
কি মজা যে পেয়েছিল একটা ফলিডলের প্যাকেটে
কে জানে?