(রচনা:ওয়াশিংটন ডি.সি. ২২ ই মে, ২০১৩ ইং)
(এই কবিতাটিতে ছেলেটি মেয়েটির জন্যে ডোলী সাজিয়ে বসে আছে।বাস্তবে সাধারণতঃ মেয়েরা তা করে থাকে, তাই না ? আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে ছেলে মানুষের ডোলী সাজানোর ব্যাপারটা একটু দৃষ্টি কটু মনে হতে পারে । আমার একজন সুসভ্য(!) বন্ধু একবার বলেওছিলেন, মেয়েমানুষ আর ঢোল, বাড়ির উপর রাখবি। কিন্তু মানুষতো ঢোল না আর মেয়ে মানুষ, পুরুষ মানুষের সত্ত্বারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিছু পুরুষ নিজস্ব সত্ত্বাকে বাড়ির উপর রাখতে চান রাখুন। আমরা বাকীসব ডোলী সাজিয়েই বসে থাকব।)
ও আমার নীল পাখিগো-
আমার সুভদ্র কালের রচনা,
আমার যৌবনের ছায়াসঙ্গী ,
আমার সর্বকালের সঙ্গী –
ও আমার রঙ্গীন পাখি-
আমার নন্দিত বন্দনা,
ঝাউবনের অভিসারিনী,
পড়ন্ত বিকেলের কলকাকলী-
ও আমার নীল পাখিগো -
আমার সরোবর প্রান্তে
সৌম্য প্রশান্তি ,
পুলকিত চেতনা,
তৃপ্তির ছায়াখেলা-
আমার নীলকান্তমনি-
আমার স্বর্গসঙ্গী
যোজন যোজন দূর হতে
ভেসে আসা প্রেম,
কবিতা-
ও আমার নীল পাখিগো-
আমার সুস্পষ্ট আনন্দে
অস্পষ্ট সঙ্গীনী-
আমার মরনকালেরও নীল পরী-
আমি বসে আছি ডোলী সাজিয়ে,
কচূঁড়ী ফুলের,
নীল-হলুদ্- সাদা ভালোবাসায়|