[কাকলী প্রকাশনী has publised a book of mine in একুশে বইমেলা ২০১৩. Name - রোমান্টিক উইলোর মাঝে. This poem is from that book]



রিক্ততা:

প্রিয়ে,
এখনও বাতাস বয়,
মাঝরাতেও;
হিমেল বাতাস
পরশ বুলায় মনের দুর্বলতম ক্ষতেও,
গড়িয়ে পড়ে স্মৃতির রক্ত
শিরশিরে নীরব আর্তনাদই কেবল।

এখনও ঝর্নায় ট্রাউট পাওয়া যায়
মাথা কুঁটে মরে শিকার হবার বাসনায়,
এখনও সকাল হয় দূরের ওক সারির ফাঁকে
তোমার লাগানো বুড়ো পাইন এখনও বেচেঁ আছে;
শীতলতার অভিযোগ যখন করি রৌদ্রের কাছে
তোমারই উষ্ণতা অনুভব করি।
বিকেলে ডার্লিংয়ের চূড়োয় উঠি
(তোমার দেয়া নাম)
স্মৃতির ধূলো ওড়াই আর সূর্যাস্ত দেখি।
শুনতে পাই গভীর হাহাকার,
দীর্ঘশ্বাস যথেষ্ট নয়।
কোথায় তবে নিরুদ্দেশ উদ্দেশ্য
কোথায় তুমি
কোথায়ইবা শান্তি সরোবর!

আবার শীতলতা|

রাতে তোমার বার্তা আসে
পেজাঁ তুলোর মতো তুষারে ভর করে
শীতল অথচ উষ্ণ|
বিশাল চাঁদের পটভূমিতে
তোমাকে দেখি
কখনও ঘোড়ায় চড়ে
কখনওবা বল্গা হরিনে টানা রথে|

কিন্তূ হায়!
দূর্ভাগ্য বুঝি
তুমি অস্পৃশ্যই রয়ে গেলে;
হু হু বাতাস কাপন ধরিয়ে দেয় হাড়ে।

প্রিয়তম,
ওক, বুনোঘাস অর কাঁদা দিয়ে বানিয়েছি ঘর
আমাদের ঘর;
যেমন তুমি ভেবেছিলে-
কেবল তুমি নেই|
কোরালে অনেক ঘোড়া
যেমন তুমি চেয়েছ|
কেবল তুমি নেই|
উঠোনের এক কোনে বাগান করেছি
তাতে বাহারী ফুল ফোঁটে
রোজমেরী গন্ধ ছড়ায়
ভালবাসা খেলা করে,
শুন্য ভালোবাসা|
বুনো খরগোশ আর কাঠবিড়ালীর অবাধ যাতায়াত
তোমার ঘরে, আঙিনায়,
তুমিই কেবল নেই|
দূর আকাশের উজ্জল তারায় তোমায় খুঁজি বারেবার |



সমাপন:

অবশেষে-
অবশেষে তুমি এলে
সাদা গাউনে অপূর্ব লাগছিল,
কি উষ্ণ তোমার হাত
নিয়ে চলো তবে,
কি উষ্ণতা ঠোঁটে,
চল, যাবার বেলায়
চাঁদের পানে হেঁটে যাই
মৃদু বাতাস পরশ বুলিয়ে যায়;
স্বর্গের দূতেরা সঙ্গী তবে
সদা শান্তি সমাহার|

বিদায় জানায়
ট্রাউট,
কালো স্ট্যালিয়্ন,
আমাদের ঘর,
ওকপাতা আর মেপল ফুল|
বিদায় তবে
মুখর স্মৃতি|
ডাকে-

বিশাল চাঁদ, নিঃসীম আকাশ......