[কাকলী প্রকাশনী has publised a book of mine in একুশে বইমেলা ২০১৩. Name - রোমান্টিক উইলোর মাঝে. This poem is from that book]


বহুযুগ  হেঁটেছি -
আলোকবর্ষের পর অলোকবর্ষ্
ক্লান্ত ,
শ্রান্ত,
কালের স্বাক্ষী যেন।
বটগাছের ঝুলন্ত চামড়া,
পতিত জমির ন্যায়
অনুর্বর, নিষ্ফলা,
ভয়হীন, ক্রোধহীন, নিচু আর দুর্বল ।

তবু-
হৃদয় ডাক দিয়ে যায় বারেবার্|
মনে পরে সেই ধান, সর্ষে আর সিমের ক্ষেত |

বাতাসের মৃদু দোলা স্বস্তি বয়ে আনত;
হারিয়ে যাওয়া নদীর বাকেঁ  হঠাৎ
পালতোলা নৌকোর অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি ,
জমির আল ধরে  হাটের পানে হাঁটা
মাঝে মাঝে বড্ড তাড়া|
লাউ-কুমড়োর লোভনীয় মাঁচা
আর গুড়ো চিংড়ীর মচমচে খোলস
ভেতরে কিছু  লোভনীয় কোমলতা ।
কিশোরী বধূর লাজনম্র নোলক,
আর মাতাল করা হাসি।
খাঁ খাঁ দুপুরে খাল, মাঠ আর জলা পেরুনো,
বিকেলে পবিত্র কাঁশফুল
দরাজ গলায় মাঝির গান;
আম গাছের ছায়ায় দাড়িওয়ালাদের
গম্ভীর উপস্থিতি।
সূর্যের পটে নামা
মুয়াজ্জীনের ডাক,
বহু ব্যবহারে ক্ষয়ে যাওয়া পাটাতন,
ছায়া, শীতলতা, শান্তি আর সত্য|
রাতে রুপোলী নদী
ছায়া ছায়া খেলা আর
প্রেতাত্বাদের সরব উপস্থিতি;
কোথাও শীৎকার|

তারপর বিল পেরিয়ে
ও…ই...অকাশ পানে ;
অনন্ত যাএা,
এক অনন্তে|

প্রথম
থেকে
আবার ........