সে দিন ডেকেছিলাম তোমায় পত্রলেখা, জনারন্যে
চোখ উল্টিয়ে তুমি অবাক চোখে চেয়েছিলে
আমি ভেবেছি বুঝি চিনতে পারো নি আমায়
এক অদ্ভুত অভিমানে বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠেছিল।
বারোটি বছর কী খুব বেশি সময়?
অথচ এক জীবন পার করে দেবার কথা ছিল।
আমি চেয়েছিলাম অট্টালিকা আর তুমি কুঁড়েঘর
আজ বরং উল্টোটাই হলো।
কি এমন কারণে তোমার মোহভঙ্গ হলো
নাকি আমার পলায়ন!
এই এক যুগের ব্যবধানে
শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হতে পেরেছি কী?
অথচ তুমি দিব্যি কুঁড়েঘর ছেড়ে অট্টালিকায়
হায়! এ কেমন নিয়তি,
পত্রলেখাদের কী কখনো মন খারাপের সকাল হয়?

মুখোমুখি বসে দুটি চায়ের পেয়ালা হাতে, আনমনে
স্মৃতির দুয়ারে কড়া নেড়ে যায়-
ডাকাতিয়ার বুকে মাঝি বিহীন নৌকায় কী এখনো চলে যাওয়া যায়।
মোটরের শহরে সাইকেল উল্টিয়ে পা কী কেটে যায়
নাকি আজ এসব স্মৃতি
এক জোড়া বালক-বালিকার বালখিল্য মনে হয়।
ভালোবাসাটা কী আধো এসেছিল তাদের জীবনে
নয়তো মোহটা কেটে গিয়ে যৌবনে কেন ছেড়ে যায়।
তবুও কী ভুলতে পেরেছে তারা
ভালাবাসাটা আজও যে রয়ে গেল অধরা।

রুবু মুন্নাফ
০২-০৮-২০২০
বনশ্রী, ঢাকা।