আয় বাপ, তাড়াতাড়ি চল
পথ বেশি নেই আর বাকী,
মেঘে মেঘে বেলা বয়ে যাক
আঁধারে থাকবে না আর কোন ঝুঁকি।
রাত্রিশেষের ঘোর লাগা ঢুলুঢুলু নিদালীর আঁখি
একটি জাতির হাহাকার চলে হয়ে রাতের সাথি
রাত নিষ্প্রাণ হরিতের সারি সরে সরে পথ করে
টেনে চলা দেহ হায়েনার থাবায় ছিন্নভিন্ন, টেনে চলে দুঃস্বপ্নের রাতি।
আমার চিৎকার যেন কেউ না শোনে আর, হে বিশ্ব বিবেক
গেরুয়া চাদরে মুখ বেঁধে দাও, ধর্ম উদ্ধার হোক;
জলপাই রঙের হে দানব তোমার আগল খুলে দাও
আমার যোনির এপোড় ওপোড়ে মানবতা খুবলে খাও।
আমার সন্তান আমারই সামনে দাউ দাউ আগুনে পোড়াও
কিংবা নাফের বুকে চিরতরে তারে সমাধী করতে দাও।
আর পারছি না আমি এত মৃত্যুর বোঝা বয়ে চলতে
আমার সন্তানের পোড়া মাংসের টুকরো, উপড়ানো দুটি চোখ
দুধের শিশুর দুধ মাখা মুখে কয়লার গমগমে আগুন
এর চেয়ে হায়! বিধাতা ধর্ম উদ্ধার হোক।
গনতন্ত্রের মহান জাতি ঝান্ডা তুলে নাও
সুচির কোলে ঘুমায় দেখ থিন কিয়াও।
হাজার বছরেও আমি রাখাইনের অনাহুত
বাঙলা মূলুক আজ আমার উদ্ধাস্তু বসত
কত শতাব্দী তবে পার করলে বর্মি আমি হব
হবে আমার নিজস্ব বসত, আমার নিজের মত।
আর পারছি না বাপ, পথ আর কত বাকী
এই তো, এই তো বাঙলাদেশ, আমার আশায় বসত।

রুবু মুন্নাফ
০৩-০৯-২০১৭
দক্ষিণ রায়পুর, রায়পুর-লক্ষ্মীপুর।