আজ বরষা নামে চোখের কোণে, প্রকৃতির বুকে নামে না
দারুণ শ্রাবণে কাঠফাটা রোদে বুকের পাষাণ সরে না
বৃষ্টি তুমি একটু সহায় হও ভীষণ করে ঝরো না
ফাহিম ছেলেটা একটু ফুরসত পাবে ছাতা নিতে হবে না!

ছত্রিশ জুলাই হায়েনা বুলেট ফাহিমের বাবাকে ছাড়েনি
এফোঁড় ওফোঁড়ে বুক ছাড়িয়ে শরীর ছেড়ে ধমনি
এতটুকু শরীর বুলেট বিঁধে ও একটুও থামে নি
লাথির পরে লাথি মেরেও হায়েনার সাধ মেটে নি!

ছোট্ট ফাহিম মেঘ দেখলেই ছাতা নিয়ে ছুটে যায় কবরে,
বাবা তাহার কেমনে ঘুমাবে বৃষ্টি তাকে ভেজাবে
ফারিয়া মেয়েটা চার বছরের; বাবার কবরে ঘুমাবে
গুলি খুলতে বাবার বুকের বসে থাকে কবরের শিয়রে!

প্রাণের সজনী গরম ভাতের থালা নিয়ে বসে আছে
বলেছিল সে একটু পরেই ভাত খাবে শীতলপাটিতে বসে;
প্রিয়তমা তাহার আসবে ফিরে বকুলের গন্ধ গায়ে মেখে
হাতের পাখা নেড়ে নেড়ে তারে আরো একটু তরকারি দিবে
খুব কাছাকাছি দু'জন বসে গল্পের মাঝে মিশে।
সেই হাতে আজ মেহেদি মুছে রক্তের রঙে হলো লাল,
অসহায় দুটি অবুঝ শিশুর মায়ের যে হাহাকার
এই যে বলিদান এতো প্রাণের মনে রাখবে কী মহাকাল।

রুবু মুন্নাফ
২৪-১০-২০২৪
বনশ্রী, ঢাকা।