নাবি সালেহ'র মরুর বুকে ফুটে নানান ফুল
জেহোবার সন্তানেরা ফোটায় জুডাইজমের হুল।
য়েহুদীমে্র বাণী তবু মোজেসের বিশ্বাসে,
জ্যাকবের পুত্র-কন্যা বনী-ইস্রায়েলের জাত
আব্রাহাম বুঝি ভয়ে কাঁপে নমরূদ রূপী
ইসরায়েলের ত্রাসে।
আনা-ফ্রাংককে ভুলে গেছে জায়নবাদের রোষে
আহেদ তামিমি ঘুম ভাঙ্গাল চপেটাঘাত কষে।
ছাদখোলা কারাগারে ফিলিস্তিনি হলোকাস্ট
হালামিশ সেটেলারে ইন্তিফাদার বিনাশ।

বাসেম-নারিমানেরা সন্তান জন্মায় হারিয়ে যাবে বলে-
শোকতাপ, হাহাকার নয়
আছে বীর ও শহীদের ছলছলে উজ্জ্বল মুখ।
কোকড়ানো ও সোনালী চুলের আগুন মুখা মেয়েটি
তৃতীয় ইন্তিফাদার ডাক দিয়ে গেল যুদ্ধের যাঁতাকলে
অগ্রণী সৈনিক হয়ে;
সজোরে চপেটাঘাত করা নুব্জ্য বিবেক
ইসরায়েলি দূর্গে ফাটল ধরাল;
থমকে গেল মূহুর্তের জন্য ষাট বছরের ধ্বংস মেশিন।
যে দখলদারের বিবেকের দংশন নেই
তারা কেন ভুলে গেল গুলি ছুঁড়তে!
কেন তাদের চেহারা হয়ে গেল মূহুর্তে ভয়াল?
এতটুকু কিশোরী কি ভিত নাড়িয়ে দিল দখলদারের!

ও আমাদের মানবতা, কোথায় ঘুমাও তুমি?
আমার জন্য কী শিকারই প্রাপ্য, তোমরা শিকারি
মানবতা কি আলাদা আমার, তোমার জন্য আলাগ
তবে কেন দু'মুখো সাপের দু'রকম সংলাপ।
নাজিবাদের জায়গা নিল জায়নবাদের ঘরে
নাফতালিদের ধ্বংস মেশিন ফিলিস্তিনের 'পরে।
ফিলিস্তিনের আর্ক তুমি বুকে জেরুজালেম
দৃপ্ত কন্ঠের আগল খুলো জ্বালাও বেথেলহেম।
গর্বে তোমার বুক ফুলে যায় আইন জালুতের বীর সেনা
লড়াই তোমার করুণার নয় উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা।
লক্ষ্য তোমার অটুট রাখো মূল্য যত হয়
সাইমুমের ঝড় টলতে পারে লক্ষ্য তোমার নয়।
ন্যায্য যত দাবি তোমার একচুল ছাড় নয়
কান্না নয়, করুণা নয়, দৃপ্ত প্রত্যয়।
নিপীড়িতের আশা তুমি, আরাফাতের স্বপ্ন
কোটি তরুণ লড়তে শিখবে নিয়ে তোমার পদাঙ্ক।
নতুন যুগের মুক্তিসেনা হাল ছেড়ো না বন্দিত্বে
তোমায় নিয়ে গর্ব করে ইন্তিফাদের দীক্ষিতে।

ঘুমাই আমরা বিশ্ব বিবেক, ধ্বংস যত হোক
ছোট্ট শিশু বোমায় উড়ুক কিংবা বড় হোক।
জায়নবাদী মৌলবাদ উড়াক ধ্বংস নিশান
ফিলিস্তিনের ভাগ্য বুঝি মিলবে দূর আসমান।

রুবু মুন্নাফ
০৩-০১-২০১৮
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা