অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
যাকে এতদিন শান্ত শিষ্ট বিড়াল জানতাম
আসলে সে এক বাঘ।

সে মানুষ খেতে জানে
তার বিশাল থাবা আছে
তার মুখের ভিতর নখ আছে।
আমাদের ভুল হয়ে গেছে।

যাকে শান্তি বলে নাম দিয়েছিল গ্রামের মাতব্বর
তার স্বভাব আসলেই অশান্তির চুড়ান্ত শিকড়ে।
সে কোন ভাবেই শান্ততে শান্তিময় থাকতে
পছন্দই করে না।

তার গলায় যে রত্ন হার দিয়েছিল বিশ্ব ফেরেস্তা
সেই হারটাই জানত কেবল
শান্তির গুনটাই এক মহান অশান্তি।
শান্তি ভালো করে হিটলারী পুড়াতে জানে
শান্তি ভালো করে তুর্কি নাঁচন করতে জানে
শান্তি ভালো করে কারবালা মারন মারতে জানে
শান্তি ভালো করে পিপীলিকা আয়তন তাড়াতে জানে
শান্তি পশুর চেয়ে পশু হতেই পারে।

তাই কলমী লতার পরিচয় লয়ে
শুন্যলতার  মত খেয়ে ফেলেছে মোদের
বড় বড় গাছ।
পায়রা হয়ে ঘরে ঢুকে
করে যাচ্ছে শকুনের সকল কাজ।

অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি আমরা
অনেক বড় ভুল।
আমাদের যে লক্ষ্মী ছিল ঘরে
তাঁকে তাড়ায়ে পেঁচাকে আদরে
বসিয়ে দিয়েছি আমাদের লক্ষ্মীর আসনে।
আমরা জানিই নি
যে বাঁশী আমাদের দুয়ারে দুয়ারে বেজেছিল সেদিন
সে বাঁশী নয়.... বাঁশী নয়।
সে আরব্য রজনীর দেশের কোন সন্ত্রাসী ভুত।
যে আমাদের উঠানে ধানের ফসল ফলাবে বলে
লাগিয়ে দিয়েছে খেজুরের ডাটার চাষ
তাকে চিনতে আমরা অনেক বড় ভুল
করেই ফেলেছি।করেই ফেলেছি।
ভুল করেই ফেলেছি।।

আমরা আমাদের রাস্তা নিজ হাতে খুড়ে খুড়ে
কবর বানিয়ে রেখে দিয়েছি আমাদের জন্য।
যত ছিল গাড়ি যান উড়োজাহাজ আমাদের
সবের ভিতর বসিয়ে দিয়েছি এই আমরা
জং ধরার সমস্ত নটরাজ্য আয়োজন।
একি করেছি আমরা
একি করেছি?
ভুল করে নয়
সাধ করেই ভুলের আনন্দ আয়োজনে
এক শতবর্ষ বিলাসী ভুল
করেই ফেলেছি।।করেই ফেলেছি।।
আমরা অনেক বড় ভুল করেই ফেলেছি।।।।

####################
রুবেল চন্দ্র দাস
ফ্রান্স