ফুলটা ফোটেছিল আমাদের ভূমিতেই....।
সেই এক অন্ধকার যুগে।
যখন চারদিকে হতে আক্রমন করেছিল
পৃথিবীখ্যাত বিশুদ্ধ মল।
তখন দেশিয় সুবাসে দেশীয় বাতাসে
জাগিয়ে তুলেছিল প্রতিবাদ যে ফুল
আজও তাকে জেগে উঠতে হচ্ছে
একই ভূমিতে একই কর্মে
আজিকার ধ্বংসযুগে!!

এখনো যে তার ঘরে এসে তাকেই
বিলুপ্ত করে দিতে চায় যে কুখ্যাত নালা
সে নালার সুখ্যাতি
বিশ্বভরে এক বর্বর ডাকাত।
অথচ ফুলখানি সারা গায়ে নিত্য আঘাত লয়ে
ফুল হয়েই এক এক করে ছড়িয়েছে সুঘ্রাণ
সারা ব্রহ্মান্ডভরে।
অজ্ঞানতায় মত্ত কসাইয়ের ঘরও বানিয়ে দিয়েছে
নিরীহ পশুর গোচারণের মাঠ।
উন্মাদনায় জড়িত নেশার কোম্পানির মাটিতেই
লাগিয়ে দিয়েছে নেশা ভাঙ্গার ঔষধি বৃক্ষ।
সরিয়ে দিয়েছে নানান ধুলিবালি
চাকচিক্য ময় সর্বোচ্চ মুকুটের অলিতেগলিতে।
প্রেমে বাড়িয়ে দিয়েছে প্রেম
নিত্য নতুন ভূমিতে ভূমিতে।

কোথাও কোন বাধা হয়ে আসেনি কোন
মজা পুকুর কিবা মলের উন্নত আয়োজন!!
কোথাও কোন আঙ্গুল উঠেনি ফুলের দিক
লয়ে মিথ্যার মিথ্যুকি ধরন!!
নব জোয়ারের মত সুবাসে সুবাসে
ভেসে বেড়িয়েছে সকল নদ নদী।
ভেসে বেড়িয়েছে সেই ঘরের কোন হতে
রাজ প্রাসাদ কিবা রাজপথের নানান গাড়ি।
চলেছে ফুলের ঘ্রাণে ফুলের স্তুতি
পথের বুকে বসে থাকা ইট পাথরের
কোমল আকুতিতে।
একবারও কেউ ছুড়ে দেয়নি থু থু
ফুলের দিকে
নিজের মুখ টয়লেটের গর্ভ হতে।

কিন্তু নিজ ভূমিতে আবার যেই এসেছে ফিরে
বেঁচে থাকার জন্য নয়
বাঁচিয়ে রাখার বিশাল বাহু হয়ে।
ওমনি সেই পুরুনো অন্ধকারযুগের
সকল বিষাক্ত বীর্য
ধ্বংস যুগে  এসে লাগিয়ে দিতে চাইছে
নিজের হরর পরিচয়
ফুলেরই গায়ে?
দেবরাজ্যের মুকুট টেনে চাইছে দিতে ফেলে
পাতালের পায়ের তলে?
ছিড়ে ফেলতে চাইছে শিকড় ফুলের
আপন ভূমের আপন জায়গা হতে!??

কিন্তু কেন
কোন পাপে মলরাজ্যে মলের
এমন দাম্ভিক প্রয়াস
পাপ বৃদ্ধির
নেশায়?
ফুল হতে বদলে গিয়ে দুর্গন্ধে
এখন ফুলকেই তাড়াতে চায়
নিপাত করতে চায়
নতুন
মধ্যযুগীয় আশায়??

ওরে পাপী ওরে নরাধন
শোন তোদের কান্নার অতীত কথা
আপন রক্ত ধারা চিনে
অতীতের স্মৃতিতে।
কেন বলেছিল এই ফুল দু বাহু তুলে
বাঁচিয়ে রাখতে তোদের পূর্বজ
তাদেরই
অলিতে কলিতে।
মেরেছিস কলসীর কানা
তাই বলে কি প্রেম দিবনা
জড়ায়ে দু বাহুতে??

#######################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৯/১১/২৪