এই যে উনি কথা বলছেন,,
বাংলার পদ্মা নদীর জল কতটুকু
থাকবে পরিস্কার,,কতটুকুই বা হবেন পদ্মা গভীর?
উনি কি পদ্মা নদী চিনেন?
উনি কি জানেন,,পদ্মা কখন পাড় ভাঙ্গে?
আবার কখন ইলিশ দিয়ে ভরিয়ে দেন
মানুষের মুখের স্বাদ?
কখন পদ্মা চড় জাগিয়ে স্পর্শ করেন
মানুষের পা,,
আদরে সোহাগে দু পাড় দিয়ে ভরিয়ে দেন শস্য।
উনি তার কিছুই জানেন না,,
তারপরেও উনি বলেন,,
এবার রাস্তাঘাট খোলে দাও,,বর্ষা মৌসুম।
কুয়াশা নাকি পড়বে বেশ।
উনি বলেন পাগলা ষাড়টা রক্ত জবা বা
লাল গোলাপের বাগানে উন্মুক্ত করে দাও
হালচাষ নাকি করবে বেশ।
উনি বলেন সুন্দর বনের সব হরিণ
ছেড়ে দাও এনে ,,বোর ধানের ক্ষেতে।
কিবা টিয়া পাখি যে খেতে চায় পাকা ধান
তাকে কেন তাড়াও জমি হতে?
বন্য হাতি যদি খেয়ে ফেলে কলার বাগান
খেতে দাও তারে খোলে দিয়ে সমগ্র উদ্যান।
এই যে উনি এত কথা বলেন নানান সুরে
উনি কি কাক আর কোকিলের পার্থক্য চিনেন
বসন্ত বলয় জুড়ে?
উনি কি সুর আর হারমোনিয়মের স্বর চিনেন
বাউল কিবা ফকিরের আসর ভরে?
উনি কি কখনো নদীতে কেটেছেন সাঁতার,,
বাসের পেছন আসনে বসে ঘুরেছেন শহর?
উনি কি রিক্সার চাকার নিচের মাটি চিনেন?
চিনেন কি ভিখারীর হাতের সম্মুখের দুয়ার?
উনি কৃষকের ঘাম চিনেন,,
কিবা ফেরিওয়ালার কাধের উপর বসে যাওয়া ফেরি?
উনি কি অসহায় বৃদ্ধার লাঠি টা চিনেন
মায়ের পাশে ঘুমন্ত শিশুর নিচে
প্রসাবে ভেজা নকশীকাঁথা ?
না ,,না উনি কিছুই চেনন না,
উনি চিনের শুকুরের মাংস আর চামড়ার মাঝে
কতটুকু ব্যবধান থাকে চর্বিতে,,।
চিনেন মদের বোতল
কেমনে হয় খুলতে আর কেমনে হয় লাগাতে?
তাহলে উনি এত কথা বলেন কীভাবে
বাংলার জমিতে,,?
কে তাকে দিয়েছে এত স্বর
কে তাকে দিয়েছে এত ভাষা
সেও কি চিনে না বাংলা
আর বাংলা মায়ের লুকায়িত আশা?
সেও কি চিনে না শহরের হর্ণ
গ্রামের গোল্লাছুট ?
নাকি সেও দেশি হয়ে পরদেশি
বিষ ভরা হাতের মুঠ?