যারে দেখেছি আজ নয়নভরে।
তার কাজল ভরা  বাছুর নয়নের বাকা চাহনি
আমার ভিতরের ঘুমন্ত বাসর বিছানাটা
জাগিয়ে দিয়েছে
লজ্জা ভেঙ্গে জেগে যাওয়া
লজ্জাবতী পাতার মত।
ঘ্রান ছড়াচ্ছিল চর্ম আতরে
নেশা বিলায়ে লোম ছিদ্রের তরে।
আহা কী এক জীবন্ত সুখ দেখলাম
সুখ নজরের অতৃপ্ত চেতনে।

কালো চুলের শুভ্র দেহের
আহা কী তার ঠোটের গোলাপি আভা।
মনে হচ্ছিল কোন গোলাপের পাপড়ি
সামনে বসে ডাকছে আমায়।
ঝাপিয়ে পড়ার আহবানে
দাঁড়িয়ে আছে নীরব মানবনবন্ধনে।

চিবুক ভরে যে তেজদীপ্ত লাভা তার
ছিদ্র করেছে আমার অন্তর।
সেখানেও দেখেছি এক বন্য পশুর
তার সঙ্গীর সনে বন্য মিলন আচরন।
কপাল দেখে ভেবেছি
এই বুঝি কোন তিলক মাখা কপাল
আমার কপালে লেগে তিলক পরাতে চায়।

নাসিকার সুউচ্চ সুন্দর আয়তনে
এই বুঝি কোন আগ্রাসী সন্ত্রাস
আমার নাসিকা দখল করতে চায়
অসভ্য নির্যাতনে।

বেহাল হয়ে আমার ঠোটের উপর যদি
চালিয়ে দেয় কোন বদমাস এই রকম ঠোট
আমি কী মানা করব?
নাকি চিত্ত ঘরে আগুনের উন্মোচন জ্বালায়
জিহবার রস দিয়ে ভিজিয়ে দিব
সকল আগুন।

ভাবতে ভাবতে দেহের কাঠামোর উপর তার
ছিল যত কালো আভরণ।
আমার নজর তীরে সব উড়ে গেল বাতাসে।
আমি দেখছি!!
আমি দেখছি তার সমস্ত মানচিত্রটুকু।
লিওনার্দো ভিঞ্চির চেয়েও আমার চোখে
ভীষন শিল্প তখন।
ভীষন কালিতে মেপে দেখেছি তার বুক
তার নাভি হতে চারপাশ।
ঘ্রাণে ঘ্রানে মাতাল হয়েছি কর জোরে
মাতাল করেছে যে আমারে
সে না জানি কত মাতাল
তার এমন সুরার বদন লয়ে??

না জানি কত সুখ এর চাষ সে ছড়ায়ে বেড়ায়
তার গোলাম হতে চাওয়া সকল.. জমিতে?
আমার জমি টুকু সে কি করিবে গ্রহন
যদি বন্য আদরের তরে দান করে দেই তারে?

তাহলে
দানে দানে পূর্ণ হত আমার সমস্ত কাঙ্গালিপনা।
জাগ্রত হত সুখের চেতনা দুখের  এই জীবনে।।
ভাবতাম কেবল
এইত আমার স্বর্গ স্পন্দন।
যার জন্য আমি ভিখারী আজীবনের
জীবন ঘরে!!

#####################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস